নৈতিকভাবে সাংস্কৃতিক জগৎ প্রজন্ম চত্বরের সাথেই আছে

মার্চ ২১, ২০১৩

Rokeya_Prachiঢাকা জার্নাল: প্রজন্ম চত্বরে যখন লাখো মানুষের ভিড়, তখন সেই ভিড়েই দেখা যেত সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক বড় বড় তারকাকে৷ এখন আরো ছড়িয়ে পড়ছে আন্দোলন৷ সেই তারকারা কি আছেন প্রজন্ম চত্বরের সঙ্গে?

রোকেয়া প্রাচি মনে করেন, অনেকের উপস্থিতি দেখা না গেলেও তাঁরা নৈতিকভাবে আছেন ঠিকই৷

বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচি সেই ৫ই ফেব্রুয়ারির পরপর ছিলেন, এখনো শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আছেন যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিয়ে৷তিনি জানান, এখন শুধু গোলাম আযম, কাদের মোল্লা, সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিকে সমর্থনই করছেন না, প্রজন্ম চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চকেন্দ্রিক আন্দোলনে সরাসরি অংশও নিচ্ছেন৷

অথচ একটা খবর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধেই৷ একটা ভিডিও দেখিয়ে ক’দিন আগে একটি মহল দাবি করে, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সোচ্চার রোকেয়া প্রাচি অংশ নিয়েছেন ‘জামায়াতের চ্যানেল’ হিসেবে পরিচিত দিগন্ত টেলিভিশনের নারী দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে৷ সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকে৷ রোকেয়া প্রাচি মুখ খোলার পরই অবশ্য থেমে যায় সব৷

প্রাচি জানিয়েছেন, আউটডোরে ধারণ করা সেই অনুষ্ঠানটি তিন বছর আগের, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার বিশেষ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একই অনুষ্ঠান এ বছরের নারী দিবসে দিগন্ত টেলিভিশন প্রচার করেছে বলে তাঁর ধারনা৷ তবে স্বস্তির কথা, প্রকৃত সত্য জানার পর কারো মনে আর প্রাচিকে নিয়ে বিভ্রান্তি নেই৷

জানতে চাওয়া হয়, সাংস্কৃতিক জগতের তারকারা কি আছেন গণজাগরণ মঞ্চকেন্দ্রিক আন্দোলনে? নাট্যব্যক্তিত্ব, ‘গেরিলা’ ছবির জন্য আবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাইরে থেকেও প্রজন্ম চত্বরকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা গণমাধ্যমের খবর দেখেই বোঝা যায়৷শাহবাগের আন্দোলনে আরো আছেন ঢাকা ব্যান্ডের ভোকালিস্ট মাকসুদ৷

গায়ক প্রীতমও প্রজন্ম চত্বর নিয়ে গান গেয়ে জানিয়েছেন, শাহবাগ তিনি ছাড়েননি৷ কিন্তু এভাবে হিসেব করলেও কি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে প্রকাশ্যে সোচ্চার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের তালিকাটা খুব দীর্ঘ হবে? রোকেয়া প্রাচি মনে করেন, তালিকা দীর্ঘ না হওয়ার মানে এই নয় যে তাঁরা সঙ্গে নেই৷ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এমন এক দাবি, পেশাগত ব্যস্ততা, বা ব্যক্তিগত জীবনের নানা জটিলতার কারণে অনেকে হয়তো এ মুহূর্তে সামনে আসতে পারছেন না, তবে মানসিকভাবে তাঁরা নিশ্চয়ই প্রজন্ম চত্বরের সঙ্গেই আছেন৷

সূত্র: জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ‘ডয়েচ ভেলে’।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.