ব্রিটেনের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে ভোট

মার্চ ১৮, ২০১৩

6a014e5f5d3c7c970c014e5f98370d970c-800wiঢাকা জার্নাল: ব্রিটেনের কিছু গণমাধ্যমের আঁড়িপাতা কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে আজ দেশটির সংসদ সদস্যরা গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণে নতুন নীতিমালা করা বিষয়ে ভোটে যাচ্ছে। তবে সেখানকার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে বিভক্ত এবং প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সংসদে বিব্রতকর পরাজয়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমগুলোর নিয়ন্ত্রণে নতুন নীতিমালার পুরো বিষয়টি এক অদ্ভুত জটিলতায় পড়েছে। যদিও ব্রিটেনের প্রায় সব প্রধান রাজনৈতিক দল এখন গণমাধ্যমগুলোর ওপর নজরদারীর জন্য নতুন একটি সংস্থা এবং কঠোর নিয়মকানুনের পক্ষে, তাদের মত ভিন্নতার মূল কারণ অন্য জায়গায়। আর তা হলও এর জন্য কি নতুন আইন করতে হবে?

প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলছেন এর জন্য নতুন কোন আইন করার প্রয়োজন নেই। কেননা নতুন আইন করলে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের পিচ্ছিল পথে নিয়ে যেতে পারে।

তবে তার সাথে দ্বিমত করছে স্বয়ং তারই শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেট দল। আর সাথে অবশ্যই রয়েছে বিরোধী লেবার পার্টি। তারা বলছেন, এখন একটি নতুন আইনেরই দরকার যাতে করে যে নজরদারী সংস্থা হবে তারা যেন দাঁত-বিহীন বা কার্যকরী ক্ষমতা বিহীন না হন।

তা না হলে যারা টেলিফোনে আড়িপাতার শিকার হয়েছেন এবং বিভিন্ন ট্যাবলয়েড পত্রিকার নানা অনৈতিক কার্যকলাপের শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

আর এ কারণেই এটা প্রায় পরিষ্কার যে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সংসদের ভোটাভুটিতে হারতে যাচ্ছেন – যা কোন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অবমাননারই বটে। তবে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে দলগুলোর মধ্যে যে কোন রকম আপোষ মীমাংসা হবেনা তা উড়িয়ে দেয়া যায়না।

ব্রিটেনের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া মিলার বিবিসিকে বলেছেন তিনি শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের বিষয়ে বেশ আশাবাদী।

মারিয়া মিলার বলেন, আমি আশা করি যে দলগুলোর মধ্যে যে আলোচনা চলছে তা শেষ পর্যায়ে একটি যথার্থ সমাধানে পৌছুতে পারবে। তবে এর জন্য সবদলকেই আপোষে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আমরা দেখতে চাইনা কেননা এর ফলে সাংবাদিকতার ওপর প্রভাব পড়বে। তবে, সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে বিতর্ক হতে হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন।

সূত্র: ইন্টারনেট

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.