গরুর হাটে ৩০ ব্যবসায়ী অসুস্থ
সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫ রাজশাহী: রাজশাহী সিটি বাইপাস হাটে হোটলে ভাত খেয়ে ৩০ গরু ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরা হলেন, হযরত (৫৫), জাকারিয়া (২৬), আলিম (২৫), জসিম (২২), দেলওয়ার (৩৫), মঞ্জু (৩৫), সেলিম রেজা (৪৫), সাইফুল (৩৪), আজাদ (৩০), হারুণ (৩০), আলিম (২৫), সোনা মিয়া (৩৫), মোকলেস (৪২), সিদ্দিক (৩৫), রাশেদ (৫০), বাশের (৩৮), কামরুল (৩১), শরিফুল ইসলাম (২২), রাকিব (১৫), বেলাল উদ্দিন (৩৪), আমজাদ হোসেন (৩৫), খায়রুল ইসলাম (৩৪), আব্দুর রশিদ (৪১), জর্জ মিয়া (৩৫), হারুন (৩৪), জুয়েল (২৫). ইকবাল (৩৪), কামরুজ্জামান (২৭), জাকারিয়া (৩৫) ও অজ্ঞাত আরো একজন। তাদের সবার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার সাসপুর গ্রামে।
অসুস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, সিটি হাটে একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার পরে টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ মোছার পরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওই হোটেলের মালিক জাফর পালিয়ে গেছেন।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানান, এ ঘটনার পর হোটেল মালিকের ছেলে ফয়সাল, কর্মচারী গিয়াস উদ্দিন, সোহরাব ও আব্দুল হালিমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে অন্যকোনো চক্র জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হোটেলটি।
সিটি হাটের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদ বাজার ঘিরে সিটি হাটের নিরাপত্তা এরই মধ্যে জোরদার করা হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, লিটন আলী নামে এক গরু ব্যবসায়ী জানান, সকাল ১০টার পর থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী, ট্রাক চালক ও সহকারী মিলে অন্তত ৪০ জন হাটের ভেতরের জাফরের হোটেলে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খান। বেরিয়ে যাবার সময় তারা প্রত্যেককেই হোটেল থেকে টিস্যু নিয়ে হাত ও মুখ মুছেন। এরপর থেকে একে একে অজ্ঞান হতে শুরু করেন তারা। তবে এ ঘটনায় তাদের কোন টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
সিটি হাটের গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অতীতে কখনো এভাবে গণহারে ব্যবসায়ীরা সিটি হাটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েননি। হাটের ভেতরের হোটেলে খাবার খেয়ে এমন ঘটনায় হাটের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।
সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, তারা দীর্ঘ দিন ধরে সুনামের সঙ্গে হাট পরিচালনা করে আসছেন। তবে হঠাৎ এমন ঘটনায় তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। ঘটনার পরপরই তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।