মার্কিন মুল্লুকে ‘ফিটনেস’ পার্টি !

মার্চ ১৮, ২০১৩

IMAGE_Wicked-Enchantment-Pole-Dancing_grid_6ঢাকা জার্নাল: জন্মদিনের পার্টিই হোক আর বিয়ের আগে ‘মুক্ত জীবনের’ শেষ সন্ধ্যায় ব্যাচেলরেট পার্টিই হোক, মার্কিনিরা এখন জিমে গিয়ে সে সব পার্টি করছে৷ কলেজ রিউনিয়ন, এমনকি ডিভোর্স পার্টিও বাদ যাচ্ছে না৷

বিশেষ করে বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মহিলারাই এই পার্টি করার সঙ্গে ফিটনেসে যোগ দেওয়ার সপক্ষে৷ তার মধ্যে নাইট ক্লাবের নর্তকী সুলভ ‘পোল ড্যান্সিং’-ও পড়ে৷ এর সুবিধা নাকি একদিকে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিলে সব রকমের বাধানিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মজা করা; অন্যদিকে ঘাম-ছোটানো নাচা-কোঁদার ফলে এক্সারসাইজ তো হলোই৷

গাউন পরে ককটেল হাতে নিয়ে পার্টিতে সার্কুলেট করতে করতে স্মল টকে আর তরুণ চাকুরিজীবী মহিলাদের বিশেষ আগ্রহ নেই৷ বিজনেস মানেই কনফারেন্স, আর কনফারেন্স মানেই একটার পর একটা পার্টি, ডিনার কিংবা ককটেল৷ তার চেয়ে ‘স্বাস্থ্যকর’ কোনো গতিবিধিতে টাকা এবং সময় ঢালতেই বেশি আগ্রহী এই নতুন প্রজন্মের বিজনেস উওমেন৷

আবার শুধু ফিটনেস কিংবা ‘ইওগা’, মানে যোগব্যায়ামের ক্লাসেই ব্যাপারটা সীমিত থাকছে না৷ সঙ্গে জুটছে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, মানে কাজের চাপে মুষড়ে না পড়ার নানান পদ্ধতি – তাও শেখানো হচ্ছে৷ ‘ইওগা’ আর এক্সারসাইজকে সেই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের প্রেক্ষিতেই দেখা হচ্ছে৷ যেমন ইনডোর সাইক্লিং করার ফাঁকে ফাঁকে কেক কেটে এবং ওয়াইনের বোতল খুলে জন্মদিনের পার্টি৷ সব মিলিয়ে একটা ‘কমিউনিটি ফিলিং’, একতাবোধ; একটা সহযোগিতার পরিবেশ, যা একা ট্রেনিং সাইকেলে বসে প্যাডেল করে কোনোদিনই পাওয়া যাবে না৷

মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন জিম এবং সেই সংক্রান্ত ‘চেইন’ ও ট্রেনাররা এই নতুন ‘ট্রেন্ড’-টিকে ইতিমধ্যেই ধরে ফেলেছেন৷ কাজেই তারা জিমে তাদের সাধারণ ক্লাসে শৃঙ্খলা এবং কৌশলের উপর যতোটা জোর দেন, ফিটনেস পার্টির ক্ষেত্রে তা না করে, লাগাম কিছুটা ঢিলে করেন৷

যেমন পোল ড্যান্সিং’এর ক্ষেত্রে পোলটা ধরে মাথা নীচের দিকে, পা ওপর দিকে করে টিকটিকির মতো ঝুলে থেকে সার্কাস দেখাবার দরকার নেই৷ খানিকটা অঙ্গভঙ্গি, নাচানাচি, কসরত আর প্রচুর হাসাহাসি হলেই যথেষ্ট৷ নামেই তো বলে দিচ্ছে: ফিটনেস যোগ পার্টি, ইকোয়াল টু = মার্কিন মুলুক!

সূত্র: ইন্টারনেট

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.