সাপের সুপ খেতে চান!

মার্চ ১৭, ২০১৩

snake-face-bruce-w-kruckeঢাকা জার্নাল: রেস্তরাঁটির নাম ক্যান্টনিজ ভাষায় ‘শি ওয়ং লাম’, যার অর্থ – সাপের রাজা লাম৷ এখানে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সাপের স্যুপ বিক্রি হচ্ছে৷ এক প্লেট সাপের স্যুপের দাম ৪৫ হংকং ডলার, অর্থাৎ ছয় মার্কিন ডলার৷

আকাশ-ছোঁয়া, বিরাট, অতিব্যস্ত শহর হংকং৷ তারই একটি নিরিবিলি রাস্তায় একটি পুরনো দোকানের সামনে দেখতে পাওয়া যাবে, লোহার খাঁচায় করে সাপ! খাঁচাগুলো দোকানের দরজা অবধি স্তূপ করা৷ প্রতিটি খাঁচায় কিলবিল করছে সাপ!

দোকানের ভেতরে শ’খানেক কাঠের ড্রয়ারে আরো সাপ, আবার সাপ৷ ড্রয়ারগুলোর অর্ধেকের ওপর লেবেল সাঁটা: ‘‘বিষাক্ত”৷ তবে এ’ সবই খাবার সাপ৷ সাপের মাংস এমনিতেই মেদবিহীন৷ সেই মাংস দিয়ে তৈরি থিকথিকে স্যুপ খেতে কেমন লাগে, তা বলতে পারবেন শি ওয়ং লামের খদ্দের, গ্রাহক কিংবা পৃষ্ঠপোষকরা৷

দোকান কিংবা রেস্তরাঁটি চালু করেন চীনের মূল ভূভাগ থেকে আসা এক সর্পব্যবসায়ী৷ সাপের স্যুপ যেমন হংকং, তেমন মেইনল্যান্ড চায়নাতেও খুবই জনপ্রিয়, বিশেষ করে শীতে৷ শীতে ঐ মহার্ঘ স্যুপ খেলে নাকি শরীর গরম থাকে, কেননা শরীরে রক্তচলাচল বাড়ে এবং অসুখবিসুখও কম হয়৷ সাপের পিত্ততেই নাকি তার সারা পুষ্টি, তাই বিভিন্ন প্রথাগত চীনা ওষধিতে সাপের পিত্ত ব্যবহার করা হয়৷

তবে সাপ ধরা এবং সাপ রেঁধেবেড়ে গ্রাহকদের খাওয়ানোর দিন হংকং’এ শেষ হতে চলেছে বলেই আধুনিক ‘সাপুড়েদের’ অনেকে মনে করেন৷ কাজটা শক্ত এবং বিপজ্জনক৷ সাপুড়েরা নিজেরাই তাদের সন্তানদের এই পেশায় আসতে দিতে চান না৷

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.