দোহাজারী থেকে কক্সবাজার যাচ্ছে রেললাইন
আগস্ট ১৯, ২০১৫ বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুমকে আপাতত বাদ দিয়ে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। আগে দোহাজারী–কক্সবাজার হয়ে গুমদুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। এই বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন– ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পে ব্যয়ের এক বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা)সহযোগিতা হিসেবে দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাকী অর্থ দেবে সরকার। ২০২৩ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্ত ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা চিন্তা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রেল পথে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে যাতায়াত করা যাবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের আওতায় আরও কিছু সমন্বিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা–চট্টগ্রাম করিডোরে টঙ্গী–ভৈরববাজার–আখাউড়া মিটারগেজ ডাবল ট্র্যাকে রূপান্তার, ঢাকা–চট্টগ্রাম করিডরে লাকসাম–চট্টগ্রাম মিটার গেজ ডাবল ট্র্যাকে প্রতিস্থাপন এবং ফৌজদারহাট–চট্টগ্রাম বন্দর সেকশনের মিটারগেজ ডাবল ট্র্যাকে রূপান্তর করা। এছাড়া চট্টগ্রাম রন্দরের রেল কন্টেইনার টার্মিনালের রি–মডেলিং, চট্টগ্রাম–দোহাজারীর বর্তমান মিটার গেজ লাইনকে ডাবল ট্র্যাকে রূপান্তর, একটি নতুন অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো(আইসিডি) নির্মাণ এবং গাজীপুর পুবাইল–ধীরাশ্রম রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ লাইন নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রাম ডুয়েলগেজ রেলিং স্টকের জন্য ক্যারেজ–ওয়াগন, লোকো ওয়ার্কশপ, ফুয়েলিং ব্যবস্থা ও আলাদা ডিপো স্থাপন করা হবে। উল্লেখ্য, এরআগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের ঝিলংজায় ‘দোহাজারী–কক্সবাজার–ঘুমধমু’ রেল লাইন প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচনসহ আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গত মেয়াদের সরকার প্রধান হিসাবে প্রথম কক্সবাজার সফরে এসে। ওই সময় প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, ওই সরকারের মেয়াদেই রেল লাইন প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে দীর্ঘদিনেও ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু করা সম্ভব না হওয়ায় প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক পরের বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে পত্র লিখে রেল লাইনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ কাজ স্থগিত রাখতে বলেন। এই প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপকের পক্ষে খায়রুল আলম কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত ওই পত্রে (স্মারক নং ইএনসি/পি/দোহা–কক্স/জি/২) উল্লেখ করেন, স্থানীয় সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে ২০১১–১২ অর্থসালে মাত্র ২২ লাখ টাকা এবং ২০১২–১৩ অর্থসালে মাত্র ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এ স্বল্প বরাদ্দ হতে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। তাই ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ওই পত্রে আরো বলা হয়, ভূমি অধিগ্রগণ খাতে মাত্র ৩১২ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকার বরাদ্দ আছে। অথচ চট্টগ্রাম জেলার ২৮০ দশমিক ৬১ একর ভূমি অধিগ্রহণে ৩৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং কক্সবাজার জেলার ৯৬৬ দশমিক ৫৪৩ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য কমপক্ষে ৩১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বরাদ্দ দরকার। এছাড়া জমির মূল্য আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা সূত্রে জানা যায়, পত্রটি ওই বছরের নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ কক্সবাজারে এসে পৌঁছায়। এরপরই প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। রেলওয়ে সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে রামু, কক্সবাজার ও ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন বা মিটারগেজ রেলপথ গড়ার এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যেই বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ সালে গৃহীত হয়। ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ বাস্তবায়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এই প্রকল্পটি ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন লাভ করে। কিন্তু প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে বিপাকে পড়েন সংশ্লিষ্টরা। শেষ পর্যন্ত এই কারণে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ স্থগিত করা হয়।কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী–ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম জেলার ২৭৯ দশমিক ২৭৯ একর এবং কক্সবাজার জেলার ৯৯৩ দশমিক ৪২৬ একর জমি অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে উখিয়া উপজেলার ১২৬ দশমিক ৫৪৭ একর, কক্সবাজার সদর উপজেলার ১১৮ দশমিক ৫২০৬ একর এবং চকরিয়া উপজেলায় কমবেশি ৪২২ দশমিক ৯৮ একর জমি অধিগ্রহণের লক্ষে যথাক্রমে এলএ মামলা নং ৬/১০–১১, এলএ মামলা নং ৭/১০–১১ এবং এলএ মামলা নং ৮/১০–বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুমকে আপাতত বাদ দিয়ে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। আগে দোহাজারী–কক্সবাজার হয়ে গুমদুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। এই বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন– ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পে ব্যয়ের এক বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা)সহযোগিতা হিসেবে দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাকী অর্থ দেবে সরকার। ২০২৩ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্ত ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা চিন্তা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রেল পথে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে যাতায়াত করা যাবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের আওতায় আরও কিছু সমন্বিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা–চট্টগ্রাম করিডোরে টঙ্গী–ভৈরববাজার–আখাউড়া মিটারগেজ ডাবল ট্র্যাকে রূপান্তার, ঢাকা–চট্টগ্রাম করিডরে লাকসাম–চট্টগ্রাম মিটার গেজ ডাবল ট্র্যাকে প্রতিস্থাপন এবং ফৌজদারহাট–চট্টগ্রাম বন্দর সেকশনের মিটারগেজ ডাবল ট্র্যাকে রূপান্তর করা। এছাড়া চট্টগ্রাম রন্দরের রেল কন্টেইনার টার্মিনালের রি–মডেলিং, চট্টগ্রাম–দোহাজারীর বর্তমান মিটার গেজ লাইনকে ডাবল ট্র্যাকে রূপান্তর, একটি নতুন অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো(আইসিডি) নির্মাণ এবং গাজীপুর পুবাইল–ধীরাশ্রম রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ লাইন নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রাম ডুয়েলগেজ রেলিং স্টকের জন্য ক্যারেজ–ওয়াগন, লোকো ওয়ার্কশপ, ফুয়েলিং ব্যবস্থা ও আলাদা ডিপো স্থাপন করা হবে। উল্লেখ্য, এরআগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের ঝিলংজায় ‘দোহাজারী–কক্সবাজার–ঘুমধমু’ রেল লাইন প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচনসহ আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গত মেয়াদের সরকার প্রধান হিসাবে প্রথম কক্সবাজার সফরে এসে। ওই সময় প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, ওই সরকারের মেয়াদেই রেল লাইন প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে দীর্ঘদিনেও ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু করা সম্ভব না হওয়ায় প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক পরের বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে পত্র লিখে রেল লাইনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ কাজ স্থগিত রাখতে বলেন। এই প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপকের পক্ষে খায়রুল আলম কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত ওই পত্রে (স্মারক নং ইএনসি/পি/দোহা–কক্স/জি/২) উল্লেখ করেন, স্থানীয় সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে ২০১১–১২ অর্থসালে মাত্র ২২ লাখ টাকা এবং ২০১২–১৩ অর্থসালে মাত্র ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এ স্বল্প বরাদ্দ হতে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। তাই ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ওই পত্রে আরো বলা হয়, ভূমি অধিগ্রগণ খাতে মাত্র ৩১২ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকার বরাদ্দ আছে। অথচ চট্টগ্রাম জেলার ২৮০ দশমিক ৬১ একর ভূমি অধিগ্রহণে ৩৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং কক্সবাজার জেলার ৯৬৬ দশমিক ৫৪৩ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য কমপক্ষে ৩১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বরাদ্দ দরকার। এছাড়া জমির মূল্য আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা সূত্রে জানা যায়, পত্রটি ওই বছরের নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ কক্সবাজারে এসে পৌঁছায়। এরপরই প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। রেলওয়ে সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে রামু, কক্সবাজার ও ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন বা মিটারগেজ রেলপথ গড়ার এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যেই বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ সালে গৃহীত হয়। ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ বাস্তবায়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এই প্রকল্পটি ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন লাভ করে। কিন্তু প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে বিপাকে পড়েন সংশ্লিষ্টরা। শেষ পর্যন্ত এই কারণে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ স্থগিত করা হয়।কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী–ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম জেলার ২৭৯ দশমিক ২৭৯ একর এবং কক্সবাজার জেলার ৯৯৩ দশমিক ৪২৬ একর জমি অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে উখিয়া উপজেলার ১২৬ দশমিক ৫৪৭ একর, কক্সবাজার সদর উপজেলার ১১৮ দশমিক ৫২০৬ একর এবং চকরিয়া উপজেলায় কমবেশি ৪২২ দশমিক ৯৮ একর জমি অধিগ্রহণের লক্ষে যথাক্রমে এলএ মামলা নং ৬/১০–১১, এলএ মামলা নং ৭/১০–১১ এবং এলএ মামলা নং ৮/১০–১১ রুজু করে তা অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব ২০১১ সালের ১২ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয় উক্ত প্রস্তাব অনুমোদন না দিয়ে প্রায় ৫ মাস পর ১৮ ডিসেম্বর তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। যথাযথ কাগজপত্র না দিয়ে উল্লেখিত প্রস্তাবসমূহ পেশ করার কারণ দেখিয়ে তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তবে পরবর্তীতে তা সংশোধন করে পরের বছরের মার্চ মাসে শুধুমাত্র উখিয়া ও কক্সবাজার সদরের ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন চেয়ে আবারও প্রস্তাব পাঠানো হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু এই প্রস্তাবের অনুমোদনও মেলেনি। শেষ পর্যন্ত অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে অনেক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সর্বশেষ নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় এসে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার সফরে এসে রেল লাইন প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর আরো ১ বছর পর এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রামু সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এরও প্রায় ৬ মাস পর রেলপথ মন্ত্রণালয় আপাতত ঘুমধুমকে বাদ দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে।১১ রুজু করে তা অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব ২০১১ সালের ১২ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয় উক্ত প্রস্তাব অনুমোদন না দিয়ে প্রায় ৫ মাস পর ১৮ ডিসেম্বর তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। যথাযথ কাগজপত্র না দিয়ে উল্লেখিত প্রস্তাবসমূহ পেশ করার কারণ দেখিয়ে তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তবে পরবর্তীতে তা সংশোধন করে পরের বছরের মার্চ মাসে শুধুমাত্র উখিয়া ও কক্সবাজার সদরের ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন চেয়ে আবারও প্রস্তাব পাঠানো হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু এই প্রস্তাবের অনুমোদনও মেলেনি। শেষ পর্যন্ত অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে অনেক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সর্বশেষ নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় এসে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার সফরে এসে রেল লাইন প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর আরো ১ বছর পর এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রামু সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। এরও প্রায় ৬ মাস পর রেলপথ মন্ত্রণালয় আপাতত ঘুমধুমকে বাদ দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে।