মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর সাম্প্রতিক রূপ (ভিডিওসহ)

আগস্ট ১০, ২০১৫

Earth 1ঢাকা জার্নাল: ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’। স্পেস স্টেশন থেকে জীবনানন্দকে পৃথিবী দেখালে হয়তো লাইনটি ঘুরিয়ে লিখতেন। বা লিখতেনই না!

পৃথিবীর আলো ঝলমলে সব শহর ও সুউচ্চ দালানগুলোকে ২শ ৪৯ মাইল উপর থেকে দেখলে মনে হবে নিছক রঙের কণা। সাগর-মহাসাগরগুলো আলতো তুলির আঁচড়। আর পাহাড়-পর্বত, বন-বাদাড়? সে বরং নিজেই দেখে নিন। হয়তো বলবেন, এ আর নতুন কী!

Earthবলি, নতুনত্ব আছে। পৃথিবীর সাম্প্রতিক রূপ-রঙের ভিডিও ফুটেজ এসেছে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে। মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা সেটি পোস্ট করলে, আলাদা করে সম্পাদনা করেছেন দিমিত্রি পিসাঙ্কো নামে এক ভদ্রলোক। লুডোভিকো আইনাদি সঙ্গে আবার মনোহরা সঙ্গীতও যোগ করে দিয়েছেন।

সব মিলিয়ে কেমন দাঁড়ালো বরং নিজেই দেখে নিন ভিডিওতে। তবে এটুকু নিশ্চিত করতে পারি, ঘর অন্ধকার করে দেখলে মনেই হবে না আপনি স্পেস স্টেশনে বসে নেই!

প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় নতুন বোতলে পুরোনো মদ হিসেবে স্পেস স্টেশনের কিছু তথ্য দেওয়া যেতে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) একটি বাসযোগ্য কৃত্রিম উপগ্রহ। পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সমন্বিত এ প্রকল্প ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। দুই লাখ ৪৫ হাজার ৭শ ৩৫ কেজি ভরের এ স্টেশনটির দৈর্ঘ্য ১শ ৯১ ফুট, প্রস্থ ১শ ৪৬ ফুট ও উচ্চতা ৯০ ফুট। এটি প্রতিদিন ১৫ দশমিক সাত বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
তাহলে আর দেরি না করে উড়াল দিন মহাগগন মাঝে..


ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১০, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.