মালয়েশিয়াতে কর্ম খালি নেই

জুলাই ১০, ২০১৫

nnsmঢাকা জার্নাল: সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে মালয়েশিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন বলছে, দেশটিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার মতো কর্ম খালি নেই।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মিশ্র অভিবাসীদের আসার ওপরে আঞ্চলিক পর্যায়ে নাগরিক কমিটির এক সভায় মালয়েশিয়ার স্পেশাল কমিটি অব বার কাউন্সিলের সদস্য ও মাইগ্রেন্টস, রেফুজিস অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারপারসন দাতো এম রামাচেভলান এ কথা বলেন।

সভায় মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বর্তমানে ২৯ লাখ নিয়মিত শ্রমিক রয়েছে মালয়েশিয়াতে। ধারণা করা হয়, ৪০ লাখ অবৈধ শ্রমিক রয়েছে। মালয়েশিয়াতে স্থানীয় ও অভিবাসীসহ কাজের জায়গা রয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের।

রামাচেভলান জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা দিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের জায়গায় বিটুবি প্রক্রিয়ায় আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে আরও ১৫ লাখ শ্রমিক আনা হবে। অথচ মালয়েশিয়ায় এসব লোককে কোথায় নিয়োগ দেওয়া হবে এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। মালয়েশিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস এরই মধ্যে নতুন এ অভিবাসী শ্রমিক আনার বিষয়ে বিরোধিতা করছে।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের উচিৎ যারা ইতোমধ্যে এখানে অবৈধ শ্রমিক হিসেবে রয়েছেন, তাদের বৈধতা দেওয়া। নতুন শ্রমিক আনলে যারা কাজের জন্য শ্রমিকের অ্যাপ্রোভাল নেবে ও যারা দালাল হিসবে কাজ করবে শুধুমাত্র তারাই উপকৃত হবেন। মালয়েশিয়া সরকারের উচিৎ প্রথমে ৪০ লাখ অবৈধ শ্রমিককে বৈধতা দেওয়া।

সভা শেষে তিনি বলেন, শ্রমিক আনার বিষয়টি গর্ভনমেন্ট টু গর্ভনমেন্ট হওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে ফিলিপাইনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়। সেখানে সরকার সাক্ষাৎকার নিয়ে দক্ষ লোকদের মালয়েশিয়া পাঠায়। যদিও লোক জোগাড়ের কাজটি করে বেসরকারি খাতে।

বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার জিটুজি ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি এখন নিম্নমুখী। মূল আয় পামঅয়েলের বাজার পড়ে যাচ্ছে। আর বরাবরই মালয়েশিয়ায় পাম বাগানে শ্রমিক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ানদের প্রাধান্য ছিল।

তিনি আরও বলেন, দুই দেশের সরকারের এ ঘোষণা মালয়েশিয়াতে আবারও ২০০৭ ও ২০১০ এর পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। যখন মালয়েশিয়ার রাস্তায় বাংলাদেশিরা ঘুমানোর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

আঞ্চলিক পর্যায়ে ৭টি বেসরকারি সংস্থ্যার যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ক্যারাম এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ। রিপোর্ট মাজেদুল নয়ন, বাংলানিউজ।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ০৮, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.