বিএনপির নেতারা মুক্ত- হানিফ
মার্চ ১২, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তবে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শীর্ষ নেতাদের রাখা হয়েছে ডিবি কার্যালয়ে। বাকিরা আছেন পল্টন থানার হাজতে। তাদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সাক্ষাৎকারে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “আমরা যতটুকু জেনেছি, বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরকে গত রাতেই সম্ভবত মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে আনা হয়নি। ওখানে যেহেতু শিবিরের সন্ত্রাসীরা ধাওয়া খেয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদেরকে আটক করার জন্যই পুলিশ সেখানে গিয়েছিল।”
পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের জানান, সোমবার আটক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। সিনিয়র নেতাদের সোমবার রাতেই ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা সেখানে আছেন। জুনিয়র নেতা-কর্মীরা পল্টন থানায় রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর, আগুন দেয়া ও পুলিশের ওপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দেয়া না হলে আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ হরতালের ডাক দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ১৮ দলীয় জোট। সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে সোমবারের ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, মো. শাহজাহান ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও দলটির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনিসহ শতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ১২, ২০১৩