কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ৩১ মার্চ

মার্চ ১০, ২০১৩

kadar-molla-sm20130309082616ঢাকা জার্ননাল: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আপিল শুনানি ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন। আদালত আসামিপক্ষকে আপিলের সার-সংক্ষেপ ২৪ মার্চের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

এর আগে আদালত বলেন, ‘‘এ মামলার বিষয়ে একটি টাইম ফ্রেম আছে। এছাড়া আদালতে উভয়পক্ষ উপস্থিত আছেন। জাতীয় সংসদ ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির কথা বলেছেন। মামলার ভলিউম দেখতেও সময় লাগবে। তাই শুনানির জন্য একটা সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছি। আর আপনারা (আসামিপক্ষ) সাত দিনের মধ্যে সার-সংক্ষেপ জমা দেন।’’

এ সময় ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, ‘‘দুই সপ্তাহ সময় দিন।’’

এরপর আদালত শুনানির জন্য ৩১ মার্চ নির্ধারণ করেন। এবং সার-সংক্ষেপ ২৪ মার্চের মধ্যে জমা দিতে বলেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ট্রাইব্যুনাল তাকে ৫টি অপরাধে দায়ী করলেও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দণ্ডাদেশ না দেওয়ায় এবং একটি অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়ায় সাজা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ আপিল করেন প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। রাষ্ট্রপক্ষে আপিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল শুনানিতে সরকারপক্ষে নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে আপিল শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং একটি রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অভিযোগে কাদের মোল্লার ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ৩ মার্চ আপিল দায়েরের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান সাংবাদিকদের জানান, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। ট্রাইব্যুনাল রায়ে যেসব অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে আসামি কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলো উল্লেখ করেই আপিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে অপর্যাপ্ত সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী আপিল বিভাগে ৬০ দিনের মধ্যে এ আপিল নিষ্পত্তি হবে।

অন্যদিকে ৪ মার্চ আপিল দায়েরের পর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত ৫টি অভিযোগের প্রতিটির রায়ের বিপরীতেই আপিল করা হয়েছে।’’

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথম অভিযোগ, একাত্তরের ৫ এপ্রিল মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন কাদের মোল্লা।

দ্বিতীয় অভিযোগ, একাত্তরের ২৭ মার্চ কাদের মোল্লা সহযোগীদের নিয়ে কবি মেহেরুননিসা, তার মা এবং দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় গিয়ে হত্যা করেন।

প্রমাণিত তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৯ মার্চ বিকেলে সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে আরামবাগ থেকে কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীরা জল্লাদখানা পাম্প হাউসে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন।

পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনা ও অবাঙালি রাজাকারদের সঙ্গে কাদের মোল্লা মিরপুরের আলোকদী (আলুব্দী) গ্রামে হামলা চালান। ওই ঘটনায় ৩৪৪ জনের বেশি নিহত হন।

ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৬ মার্চ কাদের মোল্লা, তার সহযোগী এবং পাকিস্তানি সেনারা মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনে হযরত আলী লস্করের বাসায় যান। কাদের মোল্লার নির্দেশে হযরত, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং দুই বছরের এক ছেলেকে হত্যা করা হয়, ধর্ষণের শিকার হন এক মেয়ে।

তবে ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে বলেছেন, ঘটনা ঘটলেও কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর গণহত্যার সঙ্গে কাদের মোল্লার সংশ্লিষ্টতা সন্দোতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি রাষ্ট্রপক্ষ। এটা ছিল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগে।

এ অভিযোগ অনুসারে, ২৫ নভেম্বর কাদের মোল্লা ও ৬০-৭০ জন রাজাকার কেরানীগঞ্জ থানার ভাওয়াল খানবাড়ি এবং ঘাটারচরে (শহীদনগর) শতাধিক নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর বিধান অনুসারে রায় ঘোষণার এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিধান রয়েছে।

তবে ইতিপূর্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিধান ছিল না। শুধু যে কোনো খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারতেন প্রসিকিউশন।

আইনের এ অসামঞ্জস্যতা দূর করতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে পাস করা হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনালস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৩’। এর ফলে উভয় পক্ষই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি এ বিলের অনুমোদন দেওয়ায় তা আইনে পরিণত হয়।

কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ৩১ মার্চ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আপিল শুনানি ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন। আদালত আসামিপক্ষকে আপিলের সার-সংক্ষেপ ২৪ মার্চের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

এর আগে আদালত বলেন, ‘‘এ মামলার বিষয়ে একটি টাইম ফ্রেম আছে। এছাড়া আদালতে উভয়পক্ষ উপস্থিত আছেন। জাতীয় সংসদ ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির কথা বলেছেন। মামলার ভলিউম দেখতেও সময় লাগবে। তাই শুনানির জন্য একটা সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছি। আর আপনারা (আসামিপক্ষ) সাত দিনের মধ্যে সার-সংক্ষেপ জমা দেন।’’

এ সময় ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, ‘‘দুই সপ্তাহ সময় দিন।’’

এরপর আদালত শুনানির জন্য ৩১ মার্চ নির্ধারণ করেন। এবং সার-সংক্ষেপ ২৪ মার্চের মধ্যে জমা দিতে বলেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ট্রাইব্যুনাল তাকে ৫টি অপরাধে দায়ী করলেও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দণ্ডাদেশ না দেওয়ায় এবং একটি অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়ায় সাজা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ আপিল করেন প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। রাষ্ট্রপক্ষে আপিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

অন্যদিকে ৪ মার্চ যাবজ্জীবন সাজা বাতিল ও প্রমাণিত সবগুলো অভিযোগ থেকে খালাসের আবেদন জানিয়ে আপিল করেন আব্দুল কাদের মোল্লা। তার পক্ষে আপিল করেন তার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল শুনানিতে সরকারপক্ষে নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে আপিল শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং একটি রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অভিযোগে কাদের মোল্লার ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ৩ মার্চ আপিল দায়েরের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান সাংবাদিকদের জানান, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। ট্রাইব্যুনাল রায়ে যেসব অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে আসামি কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলো উল্লেখ করেই আপিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে অপর্যাপ্ত সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী আপিল বিভাগে ৬০ দিনের মধ্যে এ আপিল নিষ্পত্তি হবে।

অন্যদিকে ৪ মার্চ আপিল দায়েরের পর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত ৫টি অভিযোগের প্রতিটির রায়ের বিপরীতেই আপিল করা হয়েছে।’’

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথম অভিযোগ, একাত্তরের ৫ এপ্রিল মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন কাদের মোল্লা।

দ্বিতীয় অভিযোগ, একাত্তরের ২৭ মার্চ কাদের মোল্লা সহযোগীদের নিয়ে কবি মেহেরুননিসা, তার মা এবং দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় গিয়ে হত্যা করেন।

প্রমাণিত তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৯ মার্চ বিকেলে সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে আরামবাগ থেকে কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীরা জল্লাদখানা পাম্প হাউসে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন।

পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনা ও অবাঙালি রাজাকারদের সঙ্গে কাদের মোল্লা মিরপুরের আলোকদী (আলুব্দী) গ্রামে হামলা চালান। ওই ঘটনায় ৩৪৪ জনের বেশি নিহত হন।

ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৬ মার্চ কাদের মোল্লা, তার সহযোগী এবং পাকিস্তানি সেনারা মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনে হযরত আলী লস্করের বাসায় যান। কাদের মোল্লার নির্দেশে হযরত, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং দুই বছরের এক ছেলেকে হত্যা করা হয়, ধর্ষণের শিকার হন এক মেয়ে।

তবে ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে বলেছেন, ঘটনা ঘটলেও কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর গণহত্যার সঙ্গে কাদের মোল্লার সংশ্লিষ্টতা সন্দোতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি রাষ্ট্রপক্ষ। এটা ছিল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগে।

এ অভিযোগ অনুসারে, ২৫ নভেম্বর কাদের মোল্লা ও ৬০-৭০ জন রাজাকার কেরানীগঞ্জ থানার ভাওয়াল খানবাড়ি এবং ঘাটারচরে (শহীদনগর) শতাধিক নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর বিধান অনুসারে রায় ঘোষণার এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিধান রয়েছে।

তবে ইতিপূর্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিধান ছিল না। শুধু যে কোনো খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারতেন প্রসিকিউশন।

আইনের এ অসামঞ্জস্যতা দূর করতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে পাস করা হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনালস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৩’। এর ফলে উভয় পক্ষই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি এ বিলের অনুমোদন দেওয়ায় তা আইনে পরিণত হয়।

ঢাকা জার্ননাল, মার্চ ১০, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.