আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

মার্চ ৮, ২০১৩

image_350_106090ঢাকা জার্নাল: তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করছে সরকার।

আজ বিকেলে নারী দিবস উপলক্ষ জেলা ও উপজেলা সদরে নারী সমাবেশ করা হবে।

তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা নিচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এ বিষয়ক অধিদফতর।

তথ্য পাওয়ার অধিকার ছাড়াও নারীর ক্ষমতায়ন, প্রশাসনে নারীদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা পারিবারিক সহিংসতা রোধে আইনী পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন করা হবে নারীদের।

আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক এ নারী দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম  জানান, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হল, ‘নারীর তথ্য পাওয়ার অধিকার, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।’

সচিব বলেন, “আমরা এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই দিবসটি পালনে গুরুত্ব দিচ্ছি। সব ধরণের তথ্য পাওয়ার অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে নারীদের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি করতে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় নারী সমাবেশ করার ব্যবস্থা নিয়েছি।”

সচিব বলেন, “নারীদের প্রশাসনিক কাজ ছাড়াও তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। একজন নির্যাতিত নারী যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত না হয়, সরকার সে ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়া অন্য যেসব ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়ার অধিকার নারীর রয়েছে তাও নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রতিবছর ৮ মার্চ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালন করা হয়।এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস।

১৮৫৭ সালে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলে সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর দমন-পীড়ন চালানো হয়।

১৯০৮ সালে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়।

এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন।

১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন।

সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।

১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ নারী দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে।

বাংলাদেশেও ১৯৭১ সাল থেকে এই দিবসটি পালন শুরু করে।

১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।

এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই নারীর সমঅধিকার আদায় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ঘোষিত নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ সনদ, ১৯৭৯ ও শিশু অধিকার সনদ, ১৯৮৯ এর স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে এবং বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত নারী ও শিশুর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়। বর্তমান সরকারের সময় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৮, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.