‘জলবায়ু কমিশন’ প্রতিষ্ঠার দাবি
ঢাকা জার্নাল: সমন্বিত জলবায়ু পরিকল্পনার জন্য ‘জলবায়ু কমিশন’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জলবায়ু অভিযোজন সমন্বিত পরিকল্পনার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নয়টি অধিকার ভিত্তিক নাগরিক সংগঠনের নেটওয়ার্ক ‘বাজেট ২০১৩-১৪: ভবিষ্যৎ জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন বান্ধব নয়’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
এসময় সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, কৃষি ও স্বাস্থ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিবেচনায় দুটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও বিপদাপন্ন খাত। অথচ এই দুটি খাতে গত বছরের তুলনায় এই বাজেটে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
ভয়েস’র ফারজানা আক্তার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারীরাই হবে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। স্বাস্থ্যও আরেকটি মৌলিক প্রয়োজন। সুতরাং স্বাস্থ্য ও নারী উন্নয়ন খাতে গুরুত্ব সহকারে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড আইন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এই তহবিল ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়হীনতা ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে।
আতিকুর রহমান বলেন, একটি মাত্র মন্ত্রণালয় অন্য সকল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা কঠিন, আর এ কারণেই বিসিসিটিএফ ও বিসিসিএসএপি অকার্যকর হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তাই ফিলিপাইনের মতো একটি শক্তিশালী জলবায়ু কমিশন প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলন যৌথ আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ক্লাইমেট চেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিসিডিএফ), ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড ( সিএসআরএল), কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি) ইক্যুইটি এন্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্র“প বাংলাদেশ (ইক্যুইটিবিডি), নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ (এনসিসিবি), ভয়েস, প্রাণ এবং হিউমিনিটি ওয়াচ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইক্যুইটিবিডি’র রেজাউল করিম চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন, ইক্যুইটিবিডি’র মোস্তফা কামাল আকন্দ ও সৈয়দ আমিনুল হক, ভয়েস’র ফারজানা আক্তার, এনসিসিবি’র মিজানুর রহমান এবং সিডিপি’র আতিকুর রহমান টিপু।
ঢাকা জার্নাল, জুন ১২, ২০১৩।