তাহার পিএইচডি ডিগ্রি

মে ২, ২০১৩

তিনি একজন দেশবরেণ্য পিএইচডিধারী বিজ্ঞ ব্যক্তি। কথায়-চালচলন-ব্যবহারে বাংলালিংক দামে তার শিক্ষা ঝরে পড়ে। এ রকম একজনের গল্প দেওয়া হলো। পাঠক অবম্যই ভাববেন না। এ গল্পটি সাভারে রানা প্লাজা ধস সম্পর্কে সম্প্রতি একজন পিএইচডি ধারী নাকি বলেছেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ঝাঁকিতে রানা প্লাজায় ধস নামতেও পারে। এই রাজনীতিকের রহস্যজনক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নয়, ঢাকা জার্নালের জনৈক অজ্ঞ প্রতিবেদক অনুসন্ধান শুরু করেন পিএইচডি কিভাবে পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে জট খুলতে থাকে। ঢাকা জার্নালের গুজব প্রতিবেদক প্রথমে হাবুডুবু খেলেও অনুসন্ধানে পিএ্ইচডি পাওয়ার রহস্য খুঁজে পান। যদি রানা প্লাজা ধসের মন্তব্যকারীর সঙ্গে এই অনুসন্ধান মিলে যায় তাহলে ভাববেন দেশের বিশিষ্টজনরা প্রতিবেদককে ভুল তথ্য দিয়েছেন।

তাহার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের ইতিহাস: (গল্প)

mokhaধনী রাজনীতিক ব্যক্তিটি ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছেন। তিনি তার প্রিয় ঘোড়াটিতে চড়ে লন্ডন শহরটি কেমন তা দেখতে বেড়িয়েছেন। লন্ডনের একটি দোকানের বিজ্ঞাপনে দেখতে পেলেন ‘এখানে পিএইচডি ডিগ্রি (ডক্টরেট) দেয়া হয়’।
তিনি অতি উৎসাহে দোকানে প্রবেশ করলেন। ডক্টর আলফ্রেড রবার্ট এই দোকানটির মালিক। ধনী রাজনীতিক মহাশয় তার সাথে প্রথমে পরিচিত হলেন। কথায় কথায় পিএইচডি ডিগ্রি সম্বন্ধে রবার্টের কাছে জানতে চাইলেন। রবার্ট জানালেন বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন মূল্যে পিএইচডি ডিগ্রির সার্টিফিকেট তিনি বিক্রয় করেন। রাজনীতিক এ কথা শুনে লোভ সংবরন করতে পারলেন না। অর্থের অভাব নেই তার, অভাব শুধু শিক্ষার, অভাব একটি সার্টিফিকেটের। তিনি তৎক্ষনাত রবার্টের কাছ থেকে একটি পিএইচডি ডিগ্রির সার্টিফিকেট কিনতে চাইলেন।

রবার্ট জানান, রাজনীতি বিষয়ক পিএইচডি সার্টিফিকেটের দামটা অন্যান্য ডিগ্রির চেয়ে বেশি। ধনী রাজনীতিক এ কথা শুনে সাথে সাথে আসল মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে নিলেন। তিনি এখন রাজনীতি বিষয়ক পিএইচডিধারী মানুষে পরিণত হলেন।

রবার্টের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঘোড়ায় চেপে রাজনীতিক ব্যক্তিটি মনের আনন্দে লন্ডন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন সময় মনে হলো তার কোথায় যেন একটু ভুল হয়েছে। তিনি মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করলেন, আমার তো টাকার অভাব নেই। আমি তো বাঙ্গালদেশের স্বনামধন্য মানুষও বটে। তবে কেন প্রিয় এই ঘোড়াটির জন্য একটি পিএইচডি ডিগ্রি কিনলাম না? তিনি এবার ঠিক করলেন, টাকা যত যায়, যাক। তবুও ঘোড়াটিকেও পিএইচডি সার্টিফিকেটধারী করতে হবে।

রাজনীতিক সাহেব দ্রুততার সাথে আবারো  রবার্টের কাছে গেলেন। তিনি ইতস্ততার সাথে রবার্টকে জানালেন, ঘোড়াটির জন্য একটি পিএইচডি ডিগ্রি কেনা যায় কিনা। টাকা যত লাগুক, তিনি দিতে রাজি আছেন।

রবার্ট একটু ভেবে জানালেন, আমি ঘোড়াকে ডিগ্রি দেই না। আমার পিএইচডি ডিগ্রি শুধু গাধাদের জন্যই বরাদ্দ।
প্রিয় পাঠক, ইতিমধ্যে আপনারা এই গল্পটির মাধ্যমে বুঝে গিয়েছেন, বিজ্ঞ এই রাজনীতিক কিভাবে পিএইচডি ডিগ্রিটি অর্জন করেছেন।

এই প্রতিবেদনটি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে রচিত নয়। এটি নিছক রম্য কাহিনী।

মে ২, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.