তৃতীয় হতে বাংলাদেশের ২১৫ রান চাই

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬

under 19ঢাকা জার্নাল: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১৫ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান সংগ্রহ করে লঙ্কান যুবারা।

লঙ্কানদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশের পেসারদের প্রথম এক ঘন্টায় বেশ ভালোই শাসন করেন দুই ওপেনার। উইকেটের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ স্পিন আক্রমণে এসে নিজেদের ফিরে পায়। বাংলাদেশের পেসারদের বিপক্ষে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা যতটা সবলীল ছিলেন, স্পিনে ঠিক ততটাই নড়বড়ে। এজন্য ভালো শুরুর পরও বড় স্কোর গড়তে পারেনি মাঝপথের ব্যাটসম্যানরা।

ইনিংসের শুরুতে ১০ ওভারে ৫৩ রান জমা করে লঙ্কানরা, যা পাওয়ার প্লেতে তাদের সর্বোচ্চ রান। দুই ওপেনার কামিন্দু মেন্ডিস ও সালিন্দু উশান প্রথম উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

সালিন্দু উশান এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। জাকির হাসানের পরিবর্তে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে অসাধারণ স্টাম্পিং করেন জাকির আলী। দলীয় রান ৬০ থেকে ৭০ পর্যন্ত যেতেই আরো ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। কামিন্দু মেন্ডিস (২৬) মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ ও আভিশকা ফার্নার্ন্দো (৬) ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

পরের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকে ছিলেন অধিনায়ক চারিথ আসলাঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন তিনিই। আউট হন ইনিংসের ৪৯তম ওভারে। ৯৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান আসলাঙ্কা। অধিনাকেয়ের সঙ্গে ৩০ রান যোগ করেন উইন্ডু হাসরাঙ্গা। ২৭ রান করেন সাম্মু আহসান।

শুরুতে না পারলেও লঙ্কানদের ইনিংসের শেষ ৫টি উইকেট নেন বাংলাদেশের পেসাররা। ছিল ১টি রান আউটও। ২ পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন  ও আব্দুল হালিম ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা ও সালেহ আহমেদ শাওন। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে দলের সেরা বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। ছিল ২টি মেডেন ওভারও।

ঢাকা জার্নাল, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.