পুলিশের ভুলে লাকী ৩ মাস কারাগারে

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬

Jall 01_352407574ঢাকা জার্নাল : পুলিশের ভুলে বিনা অপরাধে প্রায় তিন মাস জেল খেটেছেন লাকী নামে এক নারী। তবে, আদালতের নির্দেশে অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আবুল কাশেম বিনা অপরাধে কারাভোগ করা লাকীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল মোসা. মুক্তা (২২) নামে এক যাত্রী ১০টি স্বর্ণের বারসহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন।

স্বর্ণপাচারের অভিযোগে মুক্তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মুক্তার জামিন নামঞ্জুর করলে তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।

মুক্তার আইনজীবী মামলার কাগজপত্রে ১০টি স্বর্ণের বারের বদলে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করে হাইকোর্ট থেকে গত বছরের ৯ জুলাই জামিন করান। জামিনে মুক্তি পেয়ে যান মুক্তা।

কিন্তু এরমধ্যে আইনজীবীর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে গেলে হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করে দেন।

এই প্রেক্ষিতে পুলিশ ফের যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরে আসামি মুক্তার বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু ওই সময় মুক্তার বাসায় ছিলেন তার বোন লাকি। যাত্রাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শামছুল হক লাকিকে মুক্তা মনে করে ধরে আদালতে চালান করে দেন।

বৃহস্পতিবার মুক্তা আদালতে আত্মসমর্পণ বিচারক লাকীকে মামলাটি থেকে অব্যাহতি দেন। আর মূল আসামি মুক্তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মুক্তার আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, আসামির পরিচয় যাচাই-বাছাই না করায় পুলিশের খামখেয়ালিতে একজন নিরাপরাধ মেয়ে প্রায় তিন মাস জেল খাটলেন। এএসআই শামছুল হকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.