বিশ্বের সবচেয়ে ‘বর্ণবাদী’ দেশের তালিকায় ভারত-বাংলাদেশ

নভেম্বর ২৬, ২০১৫

25আপনার গায়ের রংয়ের সঙ্গে মেলে না কিংবা আপনার ধর্ম, জাতি বা মতামতে বিশ্বাসী নয় এমন মানুষকে আপনি কি ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখেন? সম্প্রতি সুইডিশ একটি প্রতিষ্ঠান মানুষের ভিন্ন জাতি-বর্ণের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে একটি তালিকা করেছে। এ তালিকায় আরো দুটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে তুলে ধরা হয়েছে সবচেয়ে বর্ণবাদী মানুষ হিসেবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। বাংলাদেশ, ভারত, জর্ডান ও হংকংয়ের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বর্ণবাদী মানুষ।

এসব দেশের মানুষ ভিন্ন বর্ণের মানুষকে অহরহ ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে। এতে দেখা গেছে, ভিন্ন বর্ণের মানুষকে এমনকি প্রতিবেশী হিসেবেও পছন্দ করে না এ চারটি দেশের ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ভিন্ন বর্ণের মানুষের প্রতি সবচেয়ে সহনশীল জাতি হিসেবে উঠে এসেছে ব্রিটিশদের নাম। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কলোনি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মানুষও ভিন্ন বর্ণের প্রতি যথেষ্ট সহনশীল। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর অধিবাসীরাও ভিন্ন বর্ণের প্রতি সহনশীল হিসেবে উঠে এসেছে জরিপে।

বাংলাদেশের ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ জানিয়েছে তারা ভিন্ন জাতি-বর্ণের মানুষকে প্রতিবেশী হিসেবে দেখতে চায় না। হংকংয়ের ৭০ শতাংশের বেশি অধিবাসীও একই ভাবে ভিন্ন জাতি-বর্ণের মানুষের প্রতি অসহনশীল। ভারতীয়দের মাঝে এ বর্ণবিদ্বেষের হার ৪৩.৫ শতাংশ। অন্যদিকে জর্ডানের অধিবাসীদের মাঝে ৫১.৪ শতাংশ ভিন্ন বর্ণের মানুষের প্রতি অসহনশীল। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ বর্ণবিদ্বেষের হার ভিন্ন ভিন্ন দেখা যায়। ফ্রান্সে ২২.৭ শতাংশ বর্ণবিদ্বেষী হলেও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে বর্ণবিদ্বেষের হার বেশি। বিশ্বের দেশগুলোর বর্ণবিদ্বেষের হার উঠে এসেছে নিকলাস বার্গরেন ও থেরেস নেলসনের জরিপে। আর জরিপে উঠে আসা বর্ণবিদ্বেষের এ হারের ভিত্তিতে একটি মানচিত্র তৈরি করেছে ওয়াশিংটন পোস্টের ম্যাক্স ফিশার।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.