সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন আরও ৬ ভারতীয় লেখক
অক্টোবর ১২, ২০১৫ ভারতে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন দেশের আরও ছয় বিশিষ্ট লেখক। গুজরাতটের লেখক গণেশ দেবী, দিল্লির আমন শেঠি, কন্নড় লেখক কুম বীরভদ্রাপ্পা, পঞ্জাবের গুরবচন ভুল্লার, অজমের সিংহ ঔলাখ এবং আত্মজিৎ সিংহ। এছাড়া সাহিত্য একাডেমী সাধারণ পরিষদ থেকে রোববার পদত্যাগ করেছেন কন্নড় লেখক এবং গবেষক অরবিন্দ মালাগাত্তি। কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে এ খবর। পদত্যাগের পর আনন্দবাজারকে অরবিন্দ মালাগাত্তি বলেন, ‘কালবার্গির হত্যার ঘটনায় সাহিত্য একাডেমীর চুপ করে থাকার নিন্দা করে পদত্যাগ করলাম। এমন ঘটনা দেশের সাংবিধানিক অধিকারে আঘাত হানে।’ আর পঞ্জাবি লেখক গুরবচন ভুল্লার সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘যে ভাবে মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে, তা নিয়ে আমি প্রচণ্ড বিরক্ত।’ দেশের সম্প্রীতি রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করছে না বলে মনে করেন প্রখ্যাত পঞ্জাবি নাট্যকার ঔলাখ। বিদ্বেষের প্রতিবাদে লেখকেরা সরব হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে সাহিত্য একাডেমীর চেয়ারপার্সন বিশ্বনাথপ্রসাদ তিওয়ারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সাহিত্য একাডেমী সব সময়ই মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। কোনও লেখক বা শিল্পীর উপর আঘাত করার বিষয়কে নিন্দা করে এই সংস্থা।’ এর আগে শনিবার সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ফেরান মালয়ালম সাহিত্যিক সারাহ্ জোসেফ। তারও আগে পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাহিত্যিক নয়নতারা সহগল এবং অশোক বাজপেয়ী। কালবার্গি হত্যার প্রতিবাদে সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ পরিষদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সাহিত্যিক শশী দেশপাণ্ডে। আখলাখ হত্যার প্রতিবাদ জানাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত রোববার একটি পদযাত্রার আয়োজন করেছিলেন দিল্লির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পৌঁছনোর আগেই ফিরোজ শাহ রোড এলাকায় ৩৫০ থেকে ৪০০ শিক্ষার্থকৈ আটক করে পুলিশ। পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের। বিকেলে সবাইকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সূত্র: আনন্দবাজার