ওয়াশিকুর হত্যার অভিযোগপত্রে আসামি ৫

সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫

ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান  জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগপত্রটি হাকিম আদালতে পাঠানো হয়।

আসামিরা হলেন- আরিফুল ইসলাম, জিকরুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, জুনায়েদ ওরফে তাহের এবং হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহ।

এদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম ও জিকরুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল থেকে ধরে পুলিশে দেয় জনতা।

আর সাইফুলকে হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগেই ধারালো অস্ত্রসহ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

বাকি দুই আসামি জুনায়েদ ওরফে তাহের এবং হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহ পলাতক। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ হত্যার পুরো বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিল এবং বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছিল বলে পুলিশের দাবি।

দুপুরে পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আরও দুইজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

“তাদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর সম্পূরক চার্জশিটে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

অবশ্য তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, তারা তদন্ত করছেন আরও তিনজনের বিষয়ে। তাদের নাম মাসুম ওরফে ইকবাল হাদি (৩০), শরীফ (৩২) ও আবরার (২৫)। তবে তাদের ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অভিযোগপত্রে মোট ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত ৩০ মার্চ ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিজের বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন ওয়াশিকুর, যিনি ফেইসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্ধে লিখতেন।

ওইদিনই জিকরুল্লাহ, আরিফুল, আবু তাহের এবং মাসুম নামের আরেকজনকে আসামি করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে।

২৭ বছর বয়সী ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন নামের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বাবার নাম টিপু সুলতান, বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামে।

সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি মূলত লেখালেখি করতেন ফেইসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.