স্যাটেলাইট ছবিতে বেল মন্দিরের ধ্বংসচিত্র

সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫

কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ওই মন্দিরের একটি ছবি টুইটারে প্রকাশ করে মঙ্গলবার জাতিংঘের ইনস্টিটিউট ফর ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ (অপারেশনাল স্যাটেলাইট অ্যাপ্লিকেশনস প্রোগ্রামস) বলেছে, ওই স্থাপনার প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই হাজার বছরের পুরনো গ্রিক-রোমান স্থাপত্যকলার নিদর্শন এই মন্দিরের অবস্থান ছিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পূর্বে মরুভূমির মধ্যে। গত মে মাসে ইউনেস্কো ঘোষিত এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট দখলে নেওয়ার পর গত শনিবার বেল মন্দিরে বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস।

সিরিয়া কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বলেছিল, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মন্দিরের মূল কাঠামো অটুট আছে।

তবে মঙ্গলবার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করার পর ইউএনওএসএটির ব্যবস্থাপক এইনার বোর্গো বিবিসিকে বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যে ছবি আমরা পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের মূল ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে।”

সেই সঙ্গে ভবন সংলগ্ন পাথরের স্তম্ভের সারিও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।পালিমিরেনি দেবতাদের জন্য উৎসর্গ করে নির্মিত বেল মন্দির ছিল এই প্রত্নস্থানের সবচেয়ে ভালোভাবে রক্ষিত স্থাপনাগুলোর একটি।

এর আগে পালমিরার বালশামিন মন্দিরও বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় আইএস জঙ্গিরা, যা তাদেরই প্রকাশ করা একটি ছবি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে ইউএনওএসএটি ওই মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে।

আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানেও এর আগে হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ার সাবেক সংস্কৃতি উপমন্ত্রী প্রত্নতত্ত্ববিদ আব্দাল রাজ্জাক মোয়াজকে উদ্ধৃত করে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এই মন্দির ধ্বংস হওয়া পুরো পৃথিবীর জন্যই একটি বড় ক্ষতি।… আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, এটি একটি আন্তর্জাতিক দুর্যোগ।”

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.