বয়সে নয়, তারুণ্যের সীমা হোক উদ্যমে : আঁখি
আগস্ট ২৮, ২০১৫ ঢাকা: মা হয়েছেন, তবু ক্যারিয়ারকে অবহেলা করেননি তিনি। সন্তান, সংসার সামলে এখনো উদ্দীপ্ত। নিজের তারুণ্য উপভোগ করছেন তিনি, তারুণ্য ধরে রাখতে চান আজীবন।
এভাবেই নিজের কথাগুলো জানালেন কন্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর।
বয়স দিয়ে নয়, উদ্যম দিয়ে হোক তারুণ্যের সীমা নির্ধারণ, বলেন এ শিল্পী।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জেসিআই সম্মাননা হাতে নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
আঁখি বলেন, এদেশের তরুণরা শুধু দেশে নয়, বিশ্বে নিজেদের অনন্য অবস্থান করে নেওয়ার শক্তি রাখে। আমি শুধু তরুণ শিল্পী নই, একজন মা। তবু তরুণ
হিসেবে গণ্য হই। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর নিজের ক্যারিয়ারকে অবহেলা করিনি। তারুণ্য উপভোগ করি বলেই তারুণ্য ধরে রাখতে চাই আজীবন।
সবাইকে সে পরামর্শই দেব আমি। সবার তারুণ্য যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়, বলেন তিনি।
পুরস্কার প্রসঙ্গে আঁখি বলেন, এ পুরস্কার আরও উৎসাহিত করেছে। দায়িত্বও বাড়িয়েছে অনেক। আরও মনোযোগে, ভালোবেসে কাজ করার প্রেরণা পাচ্ছি।
সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ১০ তরুণকে পুরস্কৃত করেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)। এ সম্মাননা ‘টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং
পারসন (টিওওয়াইপি)’ নামে পরিচিত।
আঁখিসহ পুরস্কার পেয়েছেন মিনহাজ আনোয়ার, নাহিম রাজ্জাক, রাশেক রহমান, করভী রাখসান্দ ধ্রুব, এবিএম হামিদুল মিসবাহ, কান্তারা কে খান, আইভী হক রাসেল, সামিরা জুবেরী হিমিকা ও সাকিব আল হাসান।
সারাবিশ্বে জেসিআই মেধাবী ১০ তরুণকে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। ব্যবসা ও অর্থনীতি, রাজনীতি, আইন,
সাংস্কৃতিক অর্জন, বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার, মানবপুষ্টি, নেতৃত্ব, ব্যক্তিগত উন্নয়ন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।