পুলিশের সঙ্গে বামপন্থীদের সংঘর্ষ

আগস্ট ২৮, ২০১৫

bamকলকাতা ও হাওড়ার কয়েকটি স্থানে বামপন্থী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি রোধ ও শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য বন্ধসহ ১৬ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের নতুন সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে রওনা দিলে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী নেতা-কর্মীদের এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত আটজনকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ দুপুরে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ১৭টি বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। এই লক্ষ্যে আজ সকাল থেকে কলকাতা ও হাওড়ার ছয়টি স্থানে হাজারো বামপন্থী নেতা-কর্মী ও সমর্থক জড়ো হন। বেলা একটার দিকে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীরা নবান্নের দিকে রওনা হন। এই অভিযান ব্যর্থ করার জন্য পুলিশও প্রস্তুতি গ্রহণ করে। পুলিশ হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড তৈরি করে বামপন্থীদের মিছিলে বাধা দেয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কলকাতার রেড রোড, রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউ, ডাফরিন রোড, ধর্মতলার গান্ধিমূর্তির পাদদেশ, মেয়ো রোড, পিটিএস মোড়, খিদিরপুর, হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, হাওড়ার ফোরশোর রোড এলাকায় বামপন্থী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাফ ও কমব্যাট ফোর্সও নামানো হয়। বামপন্থীরা বহু জায়গায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন। এ সময় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে বামপন্থী কর্মী ও সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা করে। এতে অনেকে আহত হন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাওড়ায় সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য আহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দুজন সাংবাদিক। আহত হয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, বাম সাংসদ ঋতুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আরও কয়েকজন বাম নেতা।

বিমান বসু বলেছেন, পুলিশের প্ররোচনাই এই সংঘর্ষের মূল কারণ। পুলিশ এখন তৃণমূলের সেবক হিসেবে কাজ করছে। সংঘর্ষে পুলিশের গাড়িসহ জলকামানের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
নবান্ন অভিযান ছত্রভঙ্গ করে দিলে বামপন্থীরা হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। এই অবস্থান ধর্মঘট চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এর ফলে কলকাতা ও হাওড়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.