৪৩ অবৈধ মসজিদ, মন্দির স্থাপনা অপসারণে কমিটি

আগস্ট ২৬, ২০১৫

sajahanঢাকা জার্নাল: বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চার নদী তীরে গজিয়ে ওঠা ৪৩টি অবৈধ ধর্মীয় স্থাপনা অপসারণে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে সরকার।

কমিটিকে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে নৌমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসির আরিফ মাহমুদকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিটিতে আরো সদস্য যুক্ত হতে পারেন।

বৈঠকৈ অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত এবং অপসারণ ও স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

নৌপরিবহন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে চার নদী তীরবর্তী সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নদীতীরের সরকারি এ জায়গা দখল করতে এবং দখল করা জায়গা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন গুটিকয়েক লোক।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৭৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। জমি উদ্ধার করা হয়েছে, ২১৫ দমশিক ৭৩ একর এবং পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে ৭৬০টি।

শাজাহান খান বলেন, যারা সাকারি সম্পত্তিতে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্মীয় স্থাপনা মসজিদ, মন্দির নির্মাণ করেছেন, সেই সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অপসারণ করা হবে; যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের সুযোগ নেওয়ার সাহস না পায়।

এছাড়া নদী তীরবর্তী স্থানে সরকারি জায়গায় অনুমোদন না নিয়ে সৎ উদ্দেশ্যে যারা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করেছেন, সেই সব প্রতিষ্ঠানও স্থানান্তর করা হবে। নদী দখলমুক্ত রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান নৌমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৪৩টি অবৈধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে।

কমিটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা থাকবেন জানিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, নদী দখলমুক্ত রাখতে গঠন করা কমিটিতে নৌমন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, ভূমি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম মসজিদের একজন প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধিরা এ কমিটিতে থাকবেন।

শাজাহান খান বলেন, নদীতীরে সরকারি সম্পত্তিতে ওয়াকফ ছাড়া যাতে অবৈধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান না হয়, সে জন্য স্থানীয় পর্যায়ে মসজিদের ইমামদের বয়ান দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.