রাশিয়ায় নুহের নৌকা

জুলাই ৩১, ২০১৫
boatঢাকা জার্নাল: শিরোনামটা পড়ে আজব মনে হলেও, সংবাদটা  গুজব নয়। সত্যি সত্যিই নুহের নৌকা তৈরি করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে রাশিয়া।
হযরত নুহ (আঃ)-এর সময় নেমে এসেছিল মহাপ্লাবন। প্রলয়ংকরি সে প্লাবন থেকে পৃথিবীর সৃষ্টিগুলোকে বাঁচাতে তিনি তৈরি করেছিলেন বিশাল এক নৌকা। সে নৌকাতেই তিনি জোড়ায় জোড়ায় তুলেছিলেন পৃথিবীর সব প্রকারের প্রাণী ও উদ্ভিদ। যেন প্লাবনের তোড়ে সব ধ্বংস হয়ে গেলেও পরবর্তী পৃথিবীতে আবার সব প্রাণী ও  উদ্ভিদগুলো ফিরে পা্ওয়া যায়।রাশিয়ার উদ্যোগটা্ও অনেকটা তেমনই। তবে তারা আস্ত প্রাণীকে নয়, বরং প্রাণীর ডিএনএর বিশাল সংগ্রহশালা গড়ে তুলবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আর এ পরিকল্পনাটার নাম দিয়েছেন ‘নুহের নৌকা’। আশা করা হচ্ছে ২০১৮ সালে শেষ হবে পৃথিবীর সবচে সমৃদ্ধ ডিএনএ ব্যাংক তৈরির কাজটি।

রাশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে কোমর বেঁধে। নুহের নৌকা স্থাপনের জন্য এদের প্রয়োজন হবে ৪৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা। এতে হিমায়িত অবস্থায় থাকবে সৃষ্টিজগতের সব বায়োলজিক্যাল উপকরণের কোষ। এ কোষগুলো নতুন করে উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এর জন্য বাজেট করা হয়েছে রাশিয়ান মুদ্রা এক বিলিয়ন রুবল।

 

এ বিষয়ে রাশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ভিক্টরস্যাডিভনিচে বলেন, এতে পৃথিবীর সব ধরনের সৃষ্টি সংরক্ষিত থাকবে। আমরা সৃষ্টি জগতের নতুন এক ডালা তৈরি করতে চাই। শুধু বড় জীবগুলোই নয়, আমরা অদৃশ্য এবং  স্বতন্ত্র জীবগুলোও সংরক্ষণে রাখবো।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রে অনেক প্রাণীর শুক্রাণু এবং ডিএনএ সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে এগুলো সংরক্ষণ করা হয়। বর্তমানে মোট আটশ’ প্রজাতির চারশ’ নমুনা রয়েছে।

ভিক্টরস্যাডিভনিচে বলেন, আমাদের নুহের নৌকায় উপস্থাপন করা হবে বিপুল পরিমাণ তথ্য। থাকবে আধুনিক তথ্যপ্রক্রিয়া। আমরা রাশিয়ার ইতিহাস্ও তুলে ধরবো। মোটকথা, এটিকে সত্যিকারের নুহের নৌকার মতোই গড়ে তুলতে চাই। সূত্র: ডেইলি মেইল

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.