কোমেনের প্রভাবে রাজধানীতে ঝড়বৃষ্টি, সারাদেশে নিহত ৭
জুলাই ৩১, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে শুক্রবার ভোররাত থেকে রাজধানীতে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া দিয়ে উপকূল অতিক্রমের পর ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দুর্বল এর কার্যকারিতা হারিয়েছে।
এদিকে কোমেনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোর থেকে দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত এসব প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বৃহস্পতিবার ভোলার চরফ্যাশনে ৩টি মাছধরা ট্রলার ডুবে ২৪ জেলে নিখোঁজ ও চর কুকরি মুকরিতে ১৪ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।
আবহাওয়া সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীতে বাতাসের তীব্রতার গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার।
শুক্রবার ভোররাতের দিকে রাজধানীতে শুরু হয় বাতাস সঙ্গে ঝড়ো বৃষ্টি। যা এখনও চলছে। দিনভর এই আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া সূত্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার পর সন্দ্বীপ ও দশটার পর ঘূর্ণিঝড়টি হাতিয়ার উপকূল অতিক্রম করে।
বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ধাবিত হওয়ার সময় ঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১শ’ কিলোমিটার। তবে বর্তমানে আগের তুলনায় অনেকখানি দুর্বল হয়েছে ঝড়টি। কমেছে বাতাসের গতিবেগও।
ঝড়কে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রাবন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।
বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোতেও ৫ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ৩১, ২০১৫