বান্দরবানে শতাধিক পাহাড়ে ধস

জুলাই ২৭, ২০১৫

hillঢাকা জার্নাল: বান্দরবানে টানা চারদিনের প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন এলাকায় অন্তত শতাধিক ছোট-বড় পাহাড়ে ধস নেমেছে।
এতে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে ওইসব পাহাড়ের পাদদেশ ও ঢালুতে বসবাসরত প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।

এদিকে, বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়ে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে বান্দরবান সদরের সড়ক যোগাযোগ।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, জেলা সদরসহ থানচি উপজেলার বলিপাড়া, জিন্না পাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ির গজালিয়া, বাইশারী, সোনাইছড়ি, ঘুনধুম, রুমা উপজেলার বেশকিছু এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পাহাড়ের বড় বড় অংশ ধসে পড়েছে।

বিশেষ করে লামা উপজেলার আজিজ নগর, ফাইতং, ফাসিয়াখালী এলাকায় বেশিরভাগ পাহাড়ে ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ায় ওই সড়ক হয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।

স্থানীয় পরিবেশবিদদের দাবি, পাহাড়র ধাপ কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ, অপরিকল্পিত বৃক্ষ নিধনসহ বিভিন্ন কারণে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে যাচ্ছে। ফলে টানা বৃষ্টি হলেই মাটি ধসে পড়ছে। এ সমস্যার অবসান না হলে বড় ধরনের পাহাড় ধসসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বান্দরবানের মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা এবং নদী, ছড়া ও খাল থেকে পাথর উত্তোলনের কারণে পার্বত্যাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এখনই সতর্ক না হলে পাহাড় ধসে মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

থানছি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার বাগান পাড়া, বলিপাড়া, জীবননগর, নীলগিরিসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু পাহাড়ের ছোট-বড় অংশ ধসে রাস্তায় এসে পড়েছে। তাই ওইসব এলাকার লোকজন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছে।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৭, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.