সাকার বাসভবন ‘গুডস হিল’ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণের দাবি
জুলাই ২৭, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদেরের পৈতৃক বাসভবন ‘গুডস হিল’ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণেরদাবি জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা ইমরান এইচ সরকার।
সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রাখার দাবিতে দুর্যোগময় প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে গণ অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে তিনি এই দাবি জানান। তিনি বলেন, কুখ্যাত এই যুদ্ধাপরাধীর পৈতৃক নিবাস গুডস হিলে মুক্তিযুদ্ধের সময় টর্চার সেল স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হতো।
তিনি বলেন, কুখ্যাত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুন্ঠন, নারী নির্যাতন, ধর্মান্তরিতকরণ, দেশান্তরীকরণসহ যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছে তার শাস্তি হিসেবে শুধু একবার নয় একশো বার ফাঁসি কার্যকর করলেও তার প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত হবে না।
রায় জালিয়াতিসহ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বাঁচানোর দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে ডা ইমরান বলেন, এই মানবতাবিরোধী অপরাধীকে ওআইসি’র মহাসচিব করার ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিলো। রায় ফাঁসের মাধ্যমে এই নরঘাতককে বাঁচানোর ষড়যন্ত্রের কথা সবার জানা, যা এখনো অব্যাহত আছে। তিনি দেশবাসীকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহবান জানান এবং ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকারও আহবান জানান।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে ইতোমধ্যেই প্রায় ২০ জনের অধিক সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে এবং শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা রাজপথে থাকবে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল বিকেল ৪টা থেকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে মঞ্চ। পাশাপাশি কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্রগ্রাম অঞ্চলের শহীদদের স্মরণে সন্ধ্যায় শাহবাগে ‘আলোক প্রজ্বলন’ করা হবে।
বিকেলে সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল টিএসসি প্রদক্ষিণ করে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়। সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ছাড়াও ভাস্কর রাশা, জনার্দন দত্ত নান্টু, শম্পা বসু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৭, ২০১৫।