গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ১০ জুলাইয়ের মধ্যে

জুলাই ২, ২০১৫

garmentsঢাকা জার্নাল: তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকসহ দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের শ্রমিকেদের আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে জুন মাসের বেতন ও ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে উৎসবভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে গার্মেন্টস মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে বৈঠকে ঈদের ছুটির নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।  বলা হয়েছে, পোশাক সংগঠনগুলো আলোচনা করে পৃথক পৃথক সময়ে এই ছুটি ঘোষণা করবেন। একদিনে যাতে সব পোশাক কারখানা ছুটি না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখতেও বলা হয়।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে  অনুষ্ঠিত শ্রমখাত সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে গঠিত ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির বৈঠকের পর শ্রম ও  কর্মসংস্থান  প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকেদের জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জুন মাসের বেতন আগামী ১০ জুলাই এবং উৎসব ভাতা ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালিক পক্ষকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছে এ সময়ের মধ্যে বেতন ও উৎসবভাতা দেওয়ার জন্য।

মন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটি একদিনে না দিয়ে পর্যায়ক্রমে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশেন (বিটিএমএ) প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রমিমন্ত্রী জানান, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, এমপ্লয়্যার্স ফেডারেশন সরকারকে বিমুখ করবে না। অনেকে ১৪ জুলাইয়ের আগেই বেতন-বোনাস দিয়ে দেবেন। শেষ দিন হচ্ছে ১৪ জুলাই। আমি আশা করি এরমধ্যেই সবাই বেতন-বোনাস দিয়ে দেবেন।

মজিবুল হক বলেন, সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে একমত পোষণ করেছেন। সবাই এতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

মুজিবুল হক জানান, বিজেএমইএ একদিন, বিকেএমইএ একদিন, বিটিএমএ একদিন ছুটি দেবে। তারা এমনভাবে ছুটি দেবেন যেন ঈদের আগে ৪-৫ দিনের মধ্যে সব শ্রমিকরা নিরাপদে গ্রামের বাড়ি যেতে পারেন।

তবে সবাইকে একসঙ্গে ছুটি না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে যেতে সমস্যার সৃষ্টি হবে।

ঈদের আগে শিল্পখাতের ঝুঁকির  বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সব কারখানা মনিটরিং করছি। পোশাকখাতে ৪ হাজারের মতো ছোট-বড় কারখানা আছে। সেখানে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। তবে কমপ্ল্যায়েন্সের বিষয় আছে, আমরা মনিটর করছি।

বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ নেতৃবৃন্দ, পোশাক শ্রমিক নেতা ও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.