পরকীয়া ও স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতার

জুন ২৮, ২০১৫

Meherunঢাকা জার্নাল: দৈনিক জনকণ্ঠ’র জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতারকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় তার স্বামী বেসরকারি টেলিভিশন জিটিভির বার্তা সম্পাদক রকিবুল ইসলাম ওরফে মুকুলকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে মিরপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ পারভেজ বলেন, নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে করা মামলায় রকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার বাদী নাজনীন আখতার গত বৃহস্পতিবার তার স্বামী রকিবুল ও আরেকজন নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আরেক আসামি হলেন মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস।

এ ব্যাপারে নাজনীন আখতার জানান, ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর একমাত্র মেয়ে চন্দ্রমুখী মারা যাওয়ার পর শোকে তিনি পাঁচতলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে আবার তাঁরা দুজন সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এর মধ্যে রকিবুল মেহেরুন বিনতে ফেরদৌসের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কথা বললে স্বামী রকিবুল বিভিন্ন সময়ে নাজনীনকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। একবার রক্তাক্ত অবস্থায় সহকর্মীরা বাসা থেকে নাজনীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর তাঁর দ্বিতীয় কন্যার জন্ম হয়। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর থেকে কখনোই খোঁজ নিতেন না মুকুল। এর মধ্যে নাজনীন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর স্বামী মেহেরুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। মেহেরুনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ও স্ত্রীকে কয়েকবার নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ করেন নাজনীন।

নাজনীন অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময়ে রকিবুল তাঁর কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন। সর্বশেষ রাজউকে পূর্বাচলে বরাদ্দ পাওয়া একটি প্লটের কিস্তির জন্য তিনি ১৪ লাখ টাকা দেন রকিবুলকে। কিন্তু রকিবুল ওই প্লটটি নিজের নামে লিখে নেন এবং সম্প্রতি সেটা বিক্রিও করে দেন। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় নাজনীনকে বিভিন্ন সময়ে রকিবুল নির্যাতন করেন।

এত দিন মামলা না করার বিষয়ে নাজনীন আখতার বলেন, সবার পরামর্শে ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি এত দিন মামলা করেননি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়েই মামলা করলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এর ন্যায়বিচার দাবি করেন।

ঢাকা জার্নাল, জুন ২৭, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.