‘শর্ত দিয়ে অতিরিক্ত করছে মায়ানমার’
জুন ২৩, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র নায়েক রাজ্জাককে ফেরত দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে মায়ানমার। তবে তার সঙ্গে শর্ত জুড়ে দিয়েছে দেশটি। শর্ত হিসেবে তারা তারা আটক অজ্ঞাত ৫ শাতাধিক ব্যক্তিকে রাজ্জাকের সঙ্গে ফেরত দিতে চায়। এ বিষয়টিতে মায়ানমারে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।
আর এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানও ভিন্ন। বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে ফেরত নেওয়ার সঙ্গে মানবপাচারের সময় মায়ানমারে আকটদের পরিচয় যাচাই না করে ফেরত নেবে না বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে শর্ত দিয়ে অতিরিক্ত করছে মায়ানমার। মায়ানমারে আকট ব্যক্তিদেরও ফেরত নিতে বলছে তারা।
এ নিয়ে গত ৬ দিন ধরে মায়ানমারের সঙ্গে রাজ্জাককে ফেরাতে নানা তৎপরতা চালায় বাংলাদেশ। তবে তারা মানবপাচারের সময় মায়ানমারে আটক প্রায় ৫৫৬ জনকে ফেরত নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, রাজ্জাকের ফেরত দেওয়ার বিষয় আর আটকদের ফেরত পাঠানোর বিষয় এক নয়।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিদের প্রশ্নের জবাব দেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি পাচার হওয়ার অটকদের যাচাই বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে ফেরত নেওয়া হবে না। তারা যদি বাংলাদেশি হয়, তাহলে আমরা ফেরত নেবো।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা নিশ্চিতভাবে আশাবাদি রাজ্জাককে ফেরত নেওয়া হবে।
গত ১৭ জুন ভোরে কক্সবাজার উপজেলার নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরার কাছে নাফ নদীর লালদিয়া-সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ও মাময়ানমারের সীমান্ত ও রক্ষী বাহিনীর মধ্যে গুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিজিবির সিপাহি বিপ্লব (২১)সহ দু’জন সামান্য আহত হন। আর নায়েক রাজ্জাককে মাময়ানমার সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায় বিজিপি সদস্যরা।
এসিড সন্তাসে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল অনেক ভাল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসিড অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০২-এর আওতায় বর্তমানে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ১ হাজার ৮১টি। এ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ১৩ জনের, আর যাবজ্জীবন হয়েছে ১১৬ জনের। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজ হয়েছে ১৭৭ জনের। তারা এখন কারাগারে রয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, জুন ২৩, ২০১৫