আরো দুটি নতুন বিভাগ হচ্ছে
মার্চ ২৮, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল : ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগকে ভেঙে আরো নতুন দুটি বিভাগ করা হবে। শনিবার সকালে র্যাব হেডকোয়ার্টারে সংস্থাটির ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী র্যাবের প্রশংসা করে বলেন, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি মোকাবিলায় র্যাবকে বর্তমানের চেয়ে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ মোবাবিলায় র্যাব কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। র্যাব সদস্যরা জীবন দিয়ে হলেও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করে চলেছে। সামনে আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত করা হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে র্যাবের ১১টি ব্যাটালিয়নের জন্য পৃথকভাবে স্থায়ী জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য গাজীপুরে আরেকটি জায়গা দেওয়া হয়েছে। বহরে দুটি হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়েছে। তা দিয়ে যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জরুরি মুহূর্তে অপারেশন করতে পারে।
র্যাবের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, র্যাব এরই মধ্যে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করে দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ র্যাবের প্রতি আস্থাশীল হয়ে পড়েছে। দেশব্যাপী চলা নাশকতারোধে র্যাবের ভূমিকা জনগণ লক্ষ করেছে। বর্তমানে র্যাব একটি প্রকৃত অর্থে এলিট ফোর্সে পরিণত হয়েছে। সামনে এ বাহিনীর জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে।
এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী উত্তরা র্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তিনি নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি দরবার হলে প্রবেশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধের সংবাদকে গণমাধ্যম যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে, অপরাধ নির্মূলের পর সেই খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে না।
র্যাব সদস্যদের অনেকেই জানান, র্যাব গঠন হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রথম র্যাবের অনুষ্ঠানে আসেন। এটি র্যাবের জন্য অনেক বড় পাওয়া। তিনি র্যাবের অভিভাবক। অভিভাবক হিসেবে তার কাছে অনেক কিছুই চাওয়ার আছে। তার কাছে চাওয়াগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি তিনি সেগুলো দেখবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে র্যাবের আত্মপ্রকাশ ঘটে। একে একে ১১টি বছর পার করে বাহিনীটি ১২তম বছরে পদার্পণ করেছে। পালিত হচ্ছে ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৮, ২০১৫।