২৬ মার্চে উন্মুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও জাদুঘর

মার্চ ২৫, ২০১৫


মুক্তিযুদ্ধ স্তম্ভঢাকা জার্নাল:
 মহান স্বাধীনতা দিবসে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ ও ‘স্বাধীনতা জাদুঘর’ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে।

বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা সংশ্রয় ভিআইপি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এ তথ্য জানান।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভূগর্ভস্থ স্বাধীনতা জাদুঘরে প্রাচীন কাল থেকে বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাস আলোকচিত্রের মাধ্যমে ১৪৪টি প্যানেলে উপস্থাপন করা হয়েছে। স্বাধীনতা জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যার বাস্তব নিদর্শনে সমৃদ্ধ।

আর ১৫০ ফুট উচ্চতার স্বাধীনতা স্তম্ভ তথা গ্লাস টাওয়ারের পাদদেশে স্থাপিত লাইটের আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটার উপরে ছড়িয়ে পড়ে।

বাঙালির জাতীয় জীবনে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যে সুগভীর তাৎপর্য এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুউচ্চ স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং গগণ চুম্বী আলোক রশ্মির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংযোজন করা হয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘর।

সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতা জাদুঘর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ১০ টাকা। তবে ১২ বছরের কম শিশু-কিশোরদের প্রবেশ মূল্য ২ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্ববধানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ভূগর্ভে স্থাপিত স্বাধীনতা জাদুঘর সাজানোর কাজ করেছে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।

সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান
স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘরের উন্মুক্তকরণ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৫ থেকে ৩১ মার্চ ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা ১৯৭১’ এর উপর চিত্র প্রদর্শনী।

এছাড়াও ২৬ মার্চ সকাল ৭-৯টা পর‌্যন্ত স্বাধীণ বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীসহ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অংশগ্রহণে স্বাধীনতার গানের আসর, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেলে সাড়ে ৪টা পর‌্যন্ত স্বাধীনতা জাদুঘর উন্মুক্ত, সকাল ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর‌্যন্ত স্বাধীনতা জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং স্বাধীনতা আর্জনের আনন্দের প্রতীক হিসেবে রাতে আলোকসজ্জা।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম আজিজুর রহমান, জাদুঘর ও স্তম্ভের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম উপস্থিত ছিলেন।

সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনের পর মন্ত্রী স্বাধীনতা জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৫, ২০১৫/ আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.