ঋণখেলাপী মামলায় আসামি খালেদা জিয়া

মার্চ ১৫, ২০১৫

khaleda1-1426400783ঢাকা জার্নাল: সোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপী মামলার আসামি হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা ‍জিয়া।

আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা (খালেদা জিয়া) এবং স্ত্রী-কন্যাকে আসামি করার জন্য এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী হোসনে আরা বেগম জানান, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সিভিল মামলায় কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। সে অনুয়ায়ী আমরা ৮ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান ও দুই কন্যাকে আসামি করার জন্য আদালতে আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানীর জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। সেদিন মামলাটি ঢাকার অর্থঋণ আদালতে ইস্যু গঠনের দিনও ধার্য রয়েছে।

এ মামলায় বিবাদীরা হলেন— বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফ্ফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। এর পর ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনে উল্লেখ করা ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।

২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ১৫, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.