এরশাদের সামনেই অস্ত্র উঁচিয়ে হত্যার হুমকি

মার্চ ১১, ২০১৫

Arshadঢাকা জার্নাল : জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামনেই দলের শীর্ষস্থানীয় দু’নেতা একে অপরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন! দু’জনেই রিভলবার উঁচিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়েছেন। জাপার একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যখন ঘটে এরশাদ তখন অসহায়ের মতো তাকিয়ে ছিলেন। পরে বিরক্ত হয়ে ধমক দিলে তারা থামেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচনে উভয় সিটিতে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন এরশাদ। মঙ্গলবার তার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাপার কর্মী সমর্থকরা।

দুপুরে বনানী কার্যালয়ে এরশাদ যখন অফিস করছিলেন তখন বাইরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলকারীরা প্রার্থী পরিবর্তন করে ডিসিসি উত্তরে ববি হাজ্জাজকে প্রার্থী করার স্লোগান দিতে থাকেন।

বাইরে মিছিলের খবর শুনে এরশাদ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাকের কাছে জানতে চান কিসের মিছিল হচ্ছে। মোস্তাক তখন এরশাদকে বর্ণনা দেওয়ার পাশাপাশি বলেন, উত্তরের প্রার্থী অনেক দুর্বল তাকে পরিবর্তন করা দরকার। না হলে আমাদের পরাজয় নিশ্চিত।

এ সময় মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী ধমক দিয়ে থামাতে চান মোস্তাককে। তখন মোস্তাক প্রতিবাদ করলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় ফয়সল চিশতী পকেট থেকে রিভলবার বের করে মোস্তাককে গুলি করার হুমকি দেন।

মোস্তাকও পকেট থেকে রিভলবার বের করে গুলি করার হুমকি দেন। ওই সময়ে কক্ষে এরশাদ ছাড়াও জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও অপর এক কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।

জাপা মহাসচিব অনেক চেষ্টা করেও তাদের থামাতে ব্যর্থ হন। পরে এরশাদ তাদের ধমক দিয়ে নিবৃত করেন।

ইদানিং জাপার প্রায় কর্মসূচিতেই এমন ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ফয়সল চিশতী অনেকটাই বেপরোয়া আচরণ করছেন বলে সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন।

১ জানুয়ারি সোহরাওয়াদী উদ্যানে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মহাসমাবেশে সভামঞ্চে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান ফয়সল চিশতী। এরশাদের উপস্থিতেই ওই সময় ফিরোজ রশীদকে মারতে তেড়ে আসেন চিশতী। অন্য নেতারা তাকে নিবৃত করেন।

এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এরশাদের উপস্থিতিতেই মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কেউ কেউ দাবি করেন তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে ওই দিন।

প্রতিবেদন লিখেছেন সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

ঢাকা জার্নাল. মার্চ ১১, ২০১৫।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.