রেকর্ড গড়ে টাইগারদের জয়

মার্চ ৫, ২০১৫

ঢাকা জার্নাল: স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের টার্গেটে নেমে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজদের হয়ে রেকর্ড রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিল মাশরাফি বাহিনী। ১১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা।

গ্রুপ পর্বের তলানিতে থাকা স্কটিশদের হারিয়ে গ্রুপ পর্ব পেরোনোর রাস্তাটা সুগম করলো টাইগাররা। আর টাইগারদের জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান আর সাব্বির রহমান।

স্কটল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩১৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জোস ড্যাভের বলে উইকেটের পিছনে ক্রুসের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন সৌম্য (২ রান)।

প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তামিম-রিয়াদ জুটি ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি গড়ে ওয়ার্ডল’র বলে বোল্ড হয়ে রিয়াদ সাজঘরে ফিরলেও, ততক্ষণে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ১৪৪। এ দু’জন মিলে ১৩৯ রানের জুটি গড়েন।

এর আগে ৫ চার ও এক ছক্কায় ক্যারিয়ারের ১২তম অর্ধশতক হাঁকান রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত শতভাগ স্ট্রাইক রেটে ৬২ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে ৬টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান রিয়াদ।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৮তম অর্ধশতক করে বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ৯৫ রান করে ফেরেন। তামিমের এ ইনিংসটি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের একক ইনিংস সর্বোচ্চ রান। ড্যাভের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ে আউট হওয়ার আগে তামিম ১০০ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান।

দলীয় ২০১ রানের মাথায় টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ফিরে গেলে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। ওয়ার্ডল’র বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০তম অর্ধশতক তোলা মুশফিক বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৬০ করে। ৪২ বলের মুশফিকের এ ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর দুটি ছয়।

দলকে জয়ের বন্দরে নিতে সাকিব অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। আর সাব্বির ৪২ রান করে সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দেন।

পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ৬২ রান। ২০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান। আর ৩০ ওভার শেষে টাইগাররা তোলে দুই উইকেটে ১৯১ রান। ৪০ ওভার শেষে টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে টাইগাররা তোলে ২৫২ রান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কটল্যান্ড ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩১৮ রান। স্কটিশদের হয়ে ১৫৬ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেন ওপেনার কোয়েটজার।

অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলিং ব্যর্থতার মাঝেও তাসকিন আহমেদ নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া নাসির হোসেন পান দুটি উইকেট। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি ও সাব্বির পান একটি করে উইকেট।

কোয়েটজার আউট হওয়ার আগে ১৩৪ বলে ১৭টি চার আর চারটি ছয়ে করেন ১৫৬ রান। এর আগে রুবেল হোসেনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করেন কোয়েটজার। আর এটিই স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম সেঞ্চুরি।

বিশ্বকাপের আসরে ১৬ বছর বছর পর নিউজিল্যান্ডের নেলসনের সেক্সটন ওভালে টাইগাররা আবার মুখোমুখি হয়েছে স্কটল্যান্ডের। ১৯৯৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই এসেছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়।

২০০৬ সালে অবশ্য দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড দু’বার মুখোমুখি হয়। দুটি ম্যাচেই সহজ জয় পায় টাইগাররা। ওই সিরিজে খেলা মাশরাফি, সাকিব ও মুশফিক রয়েছেন এবারের বাংলাদেশ শিবিরে।

ঢাকা জার্নাল, ০৫ মার্চ ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.