বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম পরাজয়

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫

tiger_loss_sm_595831547ঢাকা জার্নাল : এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হারের স্বাদ নিল টাইগাররা। টানা সাত ম্যাচের ছয়টিতে জয়ের পর (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত) পরাজয় বরণ করলো মাশরাফি বাহিনী। ৪৭ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। ফলে, ৯২ রানের পরাজয় মেনে নিল টাইগাররা।

লংকানদের বেধে দেওয়া ৩৩৩ রানের টার্গেটে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। তবে, ইনিংসের দ্বিতীয় বলে তামিমকে শূন্য রানে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান লাসিথ মালিঙ্গা।

বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ফিরলেও তিন নম্বরে নামা আরেক বাঁহাতি সৌম্য সরকার টাইগারদের রানের চাকা সচল রাখেন। চতুর্থ ওভারে লাকমলকে পরপর তিনবার সীমানা ছাড়া করেন সৌম্য। তবে, খুব বেশিদূর যেতে পারেননি সৌম্য। ১৫ বলে ২৫ রান করে ম্যাথুজের বলে উইকেটের পিছনে সাঙ্গাকারার হাতে ধরা পড়েন তিনি।

তামিম, সৌম্য ফিরলে ব্যাটিং ক্রিজে আসেন মমিনুল হক। সপ্তম ওভারে তিনিও সাজঘরে ফেরেন। লাকমলের বলে জয়াবর্ধনের তালুবন্দি হন মমিনুল (১ রান)।

দলীয় ৪১ রানের মাথায় টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং ওপেনার বিজয়। তবে, ১৬তম ওভারে গিয়ে রানআউটের শিকার হন ৪৩ বলে এক চার আর এক ছয়ে ২৯ রান করা বিজয়।

বিজয়ের আউটের পর ব্যাটিং ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের সঙ্গে মাত্র ১৬ রানের জুটি গড়ে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ দলীয় ১০০ রানের মাথায় পেরেরার বলে হেরাথের তালুবন্দি হন। 

দলীয় শত রানে ৫ উইকেট হারানোর পর টাইগারদের আশার আলো দেখায় সাকিব-মুশফিক জুটি। এ দুই ব্যাটসম্যান ৬৪ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে (৫৯ বলে চারটি চার আর একটি ছয়) সাকিব আউট হন।

বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে দু’শো রানের কোটা পার হওয়ার পর সাজঘরে ফিরলেন ৩৯ বলে ৩৬ রান করা মুশফিকুর রহিম। লাকমলের বলে বোল্ড হন তিনি। সাঙ্গাকারার স্ট্যাম্পিংয়ে ফেরেন মাশরাফি। তবে, ৫৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান।

পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল তিন উইকেট হারিয়ে ৬০ রান। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান। আর ৩০ ওভার শেষে ৫ উইকেট খুঁইয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৪৫ রান। ৪০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৪ রান।

এর আগে টস হেরে ক্যাচ মিসের মহড়া দিয়ে আর বাজে ফিল্ডিংয়ের উদাহরণ তৈরি করে টাইগাররা লংকানদের বড় সংগ্রহ গড়তে বারবার সুযোগ দেয়। আর সে সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ৩৩২ রান করে শ্রীলংকা।

দলীয় ১২২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দিলশান আর সাঙ্গাকারা মিলে অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানের জুটি গড়েন। দিলশান ১৬১ রানে আর সাঙ্গাকারা ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আরেক ওপেনার থিরামান্নে করেন ৫২ রান।

বিশ্বকাপের আসরে দুইবারের মুখোমুখি দেখায় দুটি ম্যাচই জিতেছে লংকানরা। আর ৩৭টি ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলংকার জয় ৩২টি, বাংলাদেশের জয় ৪টি, বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।

ঢাকা জার্নাল, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.