সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা শুরু ১ মার্চ

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫

unnamed (4)ঢাকা জার্নাল : আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৫। শহর গ্রামের শিক্ষার বৈষম্য নিরসন এবং অবহেলা-অনাদরে বেড়ে ওঠা প্রতিভা খুঁজে বের করে বিকশিত করায় এর লক্ষ্য। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো এ উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়। প্রণয়ন করা হয়েছে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ নীতিমালা ২০১২।এই প্রতিযোগিতা ইতিমধ্যে শিক্ষাপঞ্জিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মহানগরীর ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যা লি বের করা হবে। র্যা লিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সংখ্যায় কম না। চলমান রাজনৈতিক অবস্থাসহ সবকিছু বিবেচনা করে প্রস্তুতি নিয়ে এগোবো যাতে সমস্যা না হয়।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি বিভাগে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। ভাষা ও সাহিত্য, ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণির দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্ট্যাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ- এ চারটি বিষয়ে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের মেধা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি পর্যায়ে তিনটি গ্রুপে চারটি বিষয়ে একজন করে সেরা শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়।

প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ উদ্যোগে আয়োজন করে সেরা ১২ জনের নাম উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠায়। প্রতি উপজেলার সেরা ১২ জন জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। প্রতি জেলার সেরা ১২ জন বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

সাত বিভাগের ৮৪ জন ও ঢাকা মহানগরীর ১২ জন অর্থাৎ মোট ৯৬ জন জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। এখান থেকে চার বিষয়ে একজন করে তিনটি গ্রুপে মোট ১২ জনকে বছরের সেরা মেধাবী নির্বাচন করা হয়।

তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সেরা ১২ জনের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে সেরা ১২ জনের প্রত্যেককে দেড় হাজার টাকা, বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা ১২ জনের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয়।জাতীয় পর্যায়ের সেরা ১২ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পর্যায়ের অংশগ্রহণকারী অবশিষ্ট ৮৪ জনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হলেও উপজেলা পর্যায়ে ১-৩ মার্চ, জেলা পর্যায়ে ৭-৯মার্চ, বিভাগীয় পর্যায়ে ১২-১৫ মার্চ এবং ঢাকা মহানগর পর্যায়ে ১৬-১৯ মার্চ এবং জাতীয় পর্যায়ে ২২ মার্চ এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।

 ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.