ঢাকা সিটি নির্বাচনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫

 

PM 1ঢাকা জার্নাল: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।

সোমবার(২৩ ফেব্রুয়ারি’২০১৫) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল উপস্থাপন করেন। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফাইল অনুমোদন করেছেন।
 
নিয়মানুযায়ী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখন নির্বাচন কমিশনকে(ইসি) ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানালে ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।
ঢাকা সিটির জন্য সময়মত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান একজন মন্ত্রী। তবে একাধিক প্রার্থী যেন না থাকে, সে বিষয়ে সমন্বয় করে প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে নির্বাচন নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে যেসব আওয়ামী লীগ নেতা রয়েছেন তাদের জোর দিয়ে কাজ করতে বলেছেন।
একজন মন্ত্রী বলেন, সরকার চায় সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
 
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয় মন্ত্রিসভায়। চট্টগ্রাম সিটি এবং ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী কাকে করা হবে তা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে দ্রুত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নির্দেশ দেন। সে সময় ঢাকা উত্তরের জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসুল হককে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
 
২০০২ সালের এপ্রিলে ভোটের পর ২০০৭ সালের মে মাসে অবিভক্ত ডিসিসির নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়।
 
এরপর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময় দুই বার নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আর হয়নি।
২০১১ সালের ৩০ নভেম্বরে ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে দক্ষিণ ও ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তর নামে দুই ভাগ হয় ডিসিসি।
দুই ভাগ করার পর অনির্বাচিত প্রশাসক দিয়ে চলছে ঢাকা সিটি করপোরেশন। 
 

ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.