৪ কোটি রুপির গহনায় মোড়ানো কনে!

নভেম্বর ২২, ২০১৪

gold_BGঢাকা জার্নাল: আদরের কন্যার বিয়ে। অন্য দশ জন বাবার মতো তিনিও চাইতেন- মেয়েকে রাজকন্যার সাজে সাজিয়ে বরের হাতে তুলে দেবেন। বিয়ের লগন এলো। বাবা মেয়েকে সাজালেন। তবে এমন সাজে সাজালেন যে, পুরো ভারত ছাড়িয়ে বিশ্ববাসীর চোখই কপালে ওঠার জোগাড়।

মেয়েকে চার লাখ পাউন্ড মূল্যমানের (প্রায় ৪ কোটি রুপি) সোনার গহনায় সাজিয়ে দিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের ওই বাবা।

একটি প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের পূণ্যভূমি তিরুপতিতে একটি বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে সে বিয়ে অন্য দশটি বিয়ের মতো ছিল না। বিয়ের আয়োজন যতটা জাঁকালো ছিল, তার চেয়েও বেশি জমকালো ছিল কনের সাজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, প্রায় চার কোটি রুপি মূল্যমানের সোনার গহনা দিয়ে সাজানো হয়েছে কনেকে। যেন সোনায় মোড়ানো কনে!

মেয়ের বিয়েতে এতো অর্থ-সম্পদ খরচ করা বাবাও আহামরি ব্যবসায়ী বা অর্থপতি নন, মিষ্টি ব্যবসায়ী। কিন্তু প্রায় সারাজীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে মেয়েকে ‘স্বর্ণরাণী’ করে তুললেন তিনি। আবার ওই বাবাও কম যান না, তাকেও মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ভারি সোনার গলার হার (চেইন) পরতে দেখা যায়।

Bride_2এতো বেশি সোনার গহনা প্রদর্শনের এ বিয়েতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় বা যেন কোনো চুরি-ডাকাতির ঘটনা না ঘটে- সেজন্য স্থানীয় পুলিশের সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।

তিরুপতি পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, কারও অর্থ-সম্পদ থাকলে সেটা প্রদর্শন কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু এই অর্থ-সম্পদের প্রতি যেন কেউ লোভী হয়ে অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে- সেজন্য দায়িত্বে আছি আমরা।

ভারতের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করলেও দেশটিতে বিপুল সংখ্যক বিলিওনায়ার ও মিলিওনায়ারের বাস।

গত আগস্টেই পঙ্কজ পরখ নামে মুম্বাইয়ের এক শিল্পপতি-রাজনীতিক তার ৪৫তম জন্মদিনে এক লাখ ২৭ হাজার পাউন্ড মূল্যমানের সোনায় তৈরি শার্ট পরেছিলেন।

ওই ঘটনার মতোই কনেকে সোনায় মোড়ানোর ঘটনায় ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

কেউ কেউ এ ধরনের বিলাসিতাকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্রুপ-উপহাস বলে দেখলেও কেউ কেউ আবার নিজের সম্পদ ব্যয়ে অন্যের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়েছেন।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২১, ২০১৪

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.