পুরুষের তুলনায় নারীদের ঘ্রাণ শক্তি বেশি

নভেম্বর ২১, ২০১৪

woman_smell_bg_802629452ঢাকা জার্নাল: মনোবিজ্ঞান মানুষের পঞ্চইন্দ্রিয়’র একটি মোটা দাগে বলতে গেলে ঘ্রাণ শক্তি নিয়েও আলোচনা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘ্রাণ শক্তি পুরুষের চেয়ে নারীদের কিছুটা বেশি।


কারণ হিসেবে নতুন এক গবেষণায় মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন মস্তিষ্কের যে অংশ ঘ্রাণ সনাক্ত করতে সাহায্য করে নারীদের ক্ষেত্রে সেখানে কোষ বেশি থাকায় তাদের ঘ্রাণ শক্তি পুরুষের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।

সম্প্রতি একটি জার্নালে (PLOS ONE) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব রিও ডি জানেরো থেকে গবেষণাটি করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ওলফ্যাক্টরি বাল্ব’ হলো মস্তিষ্কের সেই অংশ নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়ার পরে যেখানে প্রথম ঘ্রাণ সংক্রান্ত বিশ্লেষণ হয়। নিঃশ্বাসের সঙ্গে আসা ঘ্রাণের প্রকারভেদ ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। তবে গড় ক্ষমতা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নারীদের ক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় বেশি।

কারণ হিসেবে আরো উল্লেখ করা হয়, নারীদের আবেগও পুরুষের তুলনায় বেশি হওয়ায় ঘ্রাণ শক্তিতে প্রভাব পড়ে। ব্যবহারিকভাবে পুরুষ এবং নারীদের মস্তিষ্কের গঠন পরীক্ষা (স্ক্যান) করে আকৃতিগত পার্থক্যও পাওয়া যায়। যদিও এ নিয়ে মনোবিজ্ঞানীর প্রশ্ন শেষ হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল সায়েন্স’র অধ্যাপক ছো রোবার্তো লেন্ত নারী-পুরুষের মস্তিষ্কে কোষের পার্থক্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ৫৫ বছরের বেশি বয়সে মারা গেছেন এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন এমন সাতজন পুরুষ এবং ১১ জন নারীর ময়নাতদন্তে দেখা যায় নারীদের মস্তিষ্কে কখনও কখনও শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ওলফ্যাক্টরি নিউরন থাকে। তবে গড়ে পুরুষের তুলনায় ৪৩ ভাগ বেশি থাকে।

গবেষণা শেষে দলটি বলেন, অতীতের গবেষণা এবং সম্প্রতি এই গবেষণায় পাওয়া তথ্য থেকে বলা যায় বিষয়টি এখন প্রমাণিত। যদিও অতীতের বিভিন্ন গবেষণায় নারীদের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত নিউরন থাকায় আচরণগত যে পার্থক্য তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।

তাদের মতে জন্মের পরে শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওলফ্যাক্টরি কোষগুলো বাড়তে থাকে। যদিও কেন এই পার্থক্য এবং নারীদের বিশেষ ঘ্রাণ শক্তি থাকে সে প্রশ্নের উত্তর এখনও রহস্যময়।

ভিন্ন একটি গবেষণায় দেখা গেছে এ ধরণের বিশেষ ঘ্রাণ শক্তিতেই মা তার সন্তানকে চিনতে পারেন। একইসঙ্গে চারপাশে থাকা অনেক ক্ষেত্রে প্রতিটি বস্তু পর্যন্ত ঘ্রাণ দিয়েই নারীর পরিচিত হয়।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২১, ২০১৪। 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.