মেহজাবিনের মৃত্যু, রহস্যের জট খুলবে

নভেম্বর ২১, ২০১৪

Untitled-1ঢাকা জার্নাল: শ্বশুরের বাসায় চিকিৎসক শামারুখ মেহজাবিনের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পেয়েছে পুলিশে। এসব তথ্য যাচাই-বাচাই চলছে। শিগগিরিই রহস্যের জট খুলবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশের দাবি, মেহজাবিনের স্বামী হুমায়ন সুলতানকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।এই হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আওয়ামী দলীয় সাবেক এমপি টিপু সুলতান ও তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ঘটনার দিন বাসায় ছিল কাজের মেয়ে রেজিনা। তার সঙ্গেও কথা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক কাজী শফিকুল ইসলাম জানান, ‘সবমিলিয়ে তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই এই মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট রহস্যের জট খুলবে।

তিনি বলেন, এই ঘটনার পর বাসা থেকে একটি ডায়রি উদ্ধার করেছি। তবে ডায়রির লেখাগুলো মেহজাবিনের কি না?ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এছাড়াও ঘটনার আগের দিন রাতে মেহজাবিন তার বাবার সঙ্গে ৩২ মিনিট ফোনে কথা বলেছিলেন।বাবা-মেয়ের সঙ্গে সেই রাতে কি কথা হয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে ফোন আলাপটি শুনতে আদালত কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তবে তিন দিনের  রিমান্ডে মেহজাবিনের স্বামী হুমায়ন সুলতান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

এদিকে মেহজাবিনের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

মেহজাবিনের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে বাথরুমের ভেন্টিলেটারে সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, মেহজাবিনের উচ্চতা ৫ ফিট ২ ইঞ্চি। আর যে ভেন্টিলেটারে লাশ ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে নিচের ফ্লোরের উচ্চতা ৫ ফিট।

তাহলে সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে কিভাবে আত্মহত্যা করেছে মেহজাবিন, প্রশ্ন করেন তিনি।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন টিপু সুলতান আমাকে ফোন দিয়ে বলেন আপনার মেয়েকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেহজাবিন যদি আত্মহত্যাই করে থাকে তাহলে পুলিশকে না জানিয়ে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো।

এই হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দাবি করেন এই পিতা।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে শুরু করে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সবখানেই টিপু সুলতান প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন। তাই ময়না তদন্তের প্রতিবেদনটি কতটুকু নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি।

গত বৃহস্পতিবার খান টিপু সুলতানের ধানমন্ডির বাসায় শামারখ মেহজাবিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম শামারুখের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

ঢাকা জার্নাল, নভেশ্বর ২১, ২০১৪। 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.