কবুল পড়লেন রেলমন্ত্রী

অক্টোবর ৩১, ২০১৪

rlঅবশেষে সাতষট্টি বছর বয়সে জীবনসঙ্গী হিসেবে হনুফা আক্তার রিক্তাকে কবুল করলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কুমিল্লার চান্দিনার মীরাখলা গ্রামে রিক্তার বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়।

কাজী সিদ্দিকুর রহমান মন্ত্রীর বিয়ে পড়ান। মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত হাসেম চৌধুরী উকিল বাবার দায়িত্ব পালন করেন।

মুজিব-রিক্তার বিয়ের সাক্ষী ছিলেন- কিবরিয়া মজুমদার, খোকন রেজা ও ফজলুল করিম। এদের মধ্যে কিবরিয়া বর এবং অন্য দুজন কনে পক্ষের।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে খাওয়া-দাওয়া করেন মন্ত্রী। এরপর যান কনের কক্ষে। সেখানে মালাবদলের পর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন নতুন জামাই।

পরে বিকাল পৌনে ৬টার দিকে নতুন বউকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মন্ত্রী মুজিবুল হক। নতুন বউকে তুলে দেওয়ার সময় আশপাশে অন্যদের সঙ্গে তার বোনদের দেখা যায়।

পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মন্ত্রীর সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে যাওয়া নববধূ রিক্তা। এক পর্যায়ে মূর্ছা গেলে দুই ভাই ধরে তাকে গাড়িতে বরের পাশে বসান।
নতুন বউকে নিয়ে রেলমন্ত্রী রাজধানীর মিন্টো রোডে মিনিস্টারস অ্যাপার্টমেন্টে উঠবেন বলে হনুফা আক্তার রিক্তার বড়ভাই আলাউদ্দিন মুন্সী জানিয়েছেন।

এর আগে বিকাল ৩টার দিকে প্রায় সাতশ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছান বর।

তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আগেই প্রস্তুত ছিল সব। জামাইয়ের কয়েকজন শ্যালিকাকেও দেখা যায় গেইটে বরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে।

বিপুল সমারোহে চলে অতিথি আপ্যায়ন। শুধু বরযাত্রীদের আপ্যায়নে ছিলেন ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক, যারা সবাই কন্যার নিকট আত্মীয়।

দুপুরের খাবারের তালিকায় ছিল খাসির কাচ্চি, মুরগীর রোস্ট, কোমল পানীয়, মিস্টান্ন, জর্দা এবং বোরহানী।

আর জামাই মুজিবুল হকের জন্য করা হয় বিশেষ খাবার। অন্য আয়োজনের পাশাপাশি করা হয় ১৬ কেজি ওজনের আস্ত খাসির রোস্ট।

বিশাল আকারের ডিসে জামাইয়ের খাবার পরিবেশন করা হয় বেশ আয়োজন করে। চারপাশে ১০টি ইলিশ মাছ, ১০টি আস্ত মুরগীর রোস্ট এবং মাঝে ১৬ কেজি ওজনের খাসির রোস্ট। নানান পদের খাবার ও মিষ্টিও ছিল সেখানে।

ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ৩১, ২০১৪।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.