তারেকের স্ত্রী জোবাইদা চাকরিচ্যুত

আগস্ট ১২, ২০১৪

Jobaida rahmanঢাকা জার্নাল: পাঁচ বছর ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান চাকরি হারিয়েছেন। সরকারি চাকরিবিধির ৩৪ ধারা অনুযায়ী ৫ বছরের বেশি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার চাকরির অবসান হয়েছে। 

কর্মস্থলে অনুপস্থিতির জন্য চাকরি হারালেও অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জুবাইদাকে নোটিশ দিতে হবে। ব্যাখ্যার জবাব না দিলে অথবা জবাব সন্তোষজনক না হলে পত্রিকায় চাকরিচ্যুতির বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। তবে জবাব সন্তোষজনক হলে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ারও বিধান আছে।
 
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জুবাইদার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর ছিল জুবাইদার। এরপর স্বামীর চিকিৎসা শেষ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার ছুটি বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে কারণটি যৌক্তিক মনে না হওয়ায় ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি।
 
ডা. জুবাইদা আবেদনপত্রে লিখেছিলেন, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর বহিঃবাংলাদেশ ছুটি নিয়ে অসুস্থ স্বামী তারেক রহমানের সুচিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। চিকিৎসা শেষ না হওয়ায় তার পক্ষে অসুস্থ স্বামীকে একা বিদেশ রেখে দেশে ফেরা সম্ভব নয়। এর আগে একবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশপত্রে কী ধরনের ছুটি বাড়াতে হবে তা উল্লেখ না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
 
সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি ডা. জুবাইদা এক বছরের ছুটির জন্য স্বাস্থ্য সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন। ছুটি মঞ্জুর না করে দেশে ফিরে চাকরিতে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে। জুবাইদা দেশে ফিরে আসেননি।
 
চাকরিবিধির ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, ঘটনার বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় সরকার অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে ছুটিসহ অথবা ছুটি ছাড়া একটানা পাঁচ বছর কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকার পর একজন সরকারি কর্মচারীর চাকরির অবসান হবে। পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনেও কাজে যোগদান করলে চাকরি থাকবে। 

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১২, ২০১৪।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.