সমাজকল্যাণমন্ত্রীর অপসারণ দাবি সাংবাকিদের

আগস্ট ১০, ২০১৪

Samajkallanঢাকা জার্নাল: সাংবাদিকদের সম্পর্কে অশ্লীল ও অরুচিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

একই সঙ্গে মন্ত্রীর অশালীন বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতেও আহবান জানানো হয়েছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে। পাশপাশি মন্ত্রীর বিষয়ে কার্যকর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়েছেন সাংবাদিকরা।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং  ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে অপসারণের দাবি জানান।

আর সাংবাদিকদের এ দুটি সংগঠনের অপর অংশ মন্ত্রীর অশালীন বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানান বিবৃতি দিয়ে।

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত হয়ে উঠেছেন।

সর্বশেষ সিলেটের এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।

এরই জের ধরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ এবং কুদ্দুস আফ্রাদসহ  চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, যশোর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নারায়নগঞ্জ এবং কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে  ক্ষমা প্রার্থনা করে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য সৈয়দ মহসিন আলী প্রতি আহবান জানান।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সৈয়দ মহসিন আলী ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতি উস্কানী মূলক বক্তব্য রেখেই চলেছেন। সৈয়দ মহসিন আলীর উচ্চারিত শব্দাবলী, বক্তব্য এবং তাঁর দেহের ভাষায় যার প্রকাশ ঘটেছে তা তার নিজস্ব শিক্ষা, রূচী, রাজনীতি ও পারিবারিক সংস্কৃতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন মন্ত্রীর নীচু স্তরের এই ধরনের মানসিকতা এবং তাঁর প্রকাশ গোটা সরকার ও মন্ত্রীসভার মর্যাদাকেই হেয় করে। এই মানের কোন মন্ত্রী যে কোনভাবেই সরকারের বা মন্ত্রীসভার  মর্যাদা  বৃদ্ধি করে না তা নিশ্চয়ই সরকারের শীর্ষ মহলও অনুধাবন করবেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সরকারের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থেই তাঁর ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের  আহবান জানান।

বিবৃতিতে সাংবাদিক এই নেতৃবৃন্দ বলেন, বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে  সৈয়দ মহসিন আলী তাঁর বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রীই যে তাকে এবং আপর একমন্ত্রীকে ‘চালিয়ে যেতে বলেছেন’ এ কথা বলার মধ্য দিয়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম বিরোধী অরূচীকর ও অশালীন আচরণের সঙ্গে প্রধামন্ত্রীর নামটিও জড়িয়ে ফেলছেন।

এটি আমাদের সবার জন্যই ব্রিবতকর। আমরা নিশ্চিত, প্রধানমন্ত্রী ও তার  সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে যখন নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন এবং তাঁর বাস্তবায়ন করছেন।  তখন মন্ত্রীসভার একজন সদস্যের আশালীন মন্তব্য ও অশোভন বক্তব্যের কারণে তিনি সেই সব শুভ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেবেন না।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সৈয়দ মহসিন আলী যেন সাংবাদিকদের কাছে দ্রুত ক্ষমা প্রার্থনা করে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করেন সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে  প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, একজন মন্ত্রীর নীচু স্তরের এই ধরনের মানসিকতা এবং তার প্রকাশ গোটা সরকার ও মন্ত্রীসভার মর্যাদাকেই হেয় করে। এই মানের কোন মন্ত্রী যে কোনভাবেই সরকারের বা মন্ত্রীসভার  মর্যাদা  বৃদ্ধি করে না তা নিশ্চয়ই সরকারের শীর্ষ মহলও অনুধাবন করবেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সরকারের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থেই তার ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের  আহবান জানান।

সাংবাদিকদ সংগঠেন দু’টোর অপর অংশের নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১০, ২০১৪।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.