রাতেই দেখা যাচ্ছে সুপারমুন
আগস্ট ১০, ২০১৪ ঢাকা জার্নাল: রাতের আঁধারে চাঁদ যেমন সুন্দর, আর সেই সুন্দরকে চোখ মেলে দেখতেও মানুষের উৎসাহ ও আয়োজনের শেষ নেই। আর চাঁদের আকার যদি হয় স্বাভাবিকের চেযে বড়, তা যদি নেমে আসে পৃথিবীর অনেকটা কাছে তাহলে তো কথাই নেই! মর্তের মানুষের কাছে কল্পলোকের সে চাঁদ আরো সুস্পষ্ট হয়ে ধরা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সে নিজেই!
কেননা রোববার রাতেই মিলছে এ সুযোগ। বছরের দ্বিতীয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (সুপারমুন) দেখার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে এ দিন। তাও আবার সুপারমুন আকারে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
চাঁদ যখন তার স্বাভাবিক অক্ষ থেকে কিছুটা সরে এসে পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে তখন আকাশে সুপারমুন দেখা যায়। এ সময় চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ও বড় দেখায়। তবে চাঁদের এ আকার খুব স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
এদিন চাঁদ পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করবে। এর আগে ২০১৩ সালের ২৩ জুন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে কম দূরত্বে (৩,৫৬,৯৯১ কিলোমিটার) অবস্থান করে চাঁদ।
পরবর্তী এ ধরনের সুপারমুন দেখতে বিশ্ববাসীকে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চাঁদ পৃথিবীর আরও কাছাকাছি অবস্থান করবে। সে সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার।
পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে পৃথিবীর আরও কাছে চলে আসবে চাঁদ। ওই বছরের ১৪ নভেম্বরের সুপারমুনে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হবে তিন লাখ ৫৬ হাজার ৫০৯ কিলোমিটার। এর ১৮ বছর পর অর্থাৎ ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁদ পৃথিবীর আরও কাছাকাছি অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে তিনবার এ সুপারমুন দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আবারও তা দেখা যাবে। এর আগে গত জুলাই মাসে বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যায়।
তবে ভূ-পৃষ্ঠে সুপারমুনের প্রভাব খুবই সামান্য বলে জানিয়েছেন নাসা’র বিজ্ঞানী জেমস গারভিন।
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১০, ২০১৪।