মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী পদমর্যাদায় নিযুক্তদের সুবিধা কমলো

আগস্ট ৬, ২০১৪

govt-logo20130813074049ঢাকা জার্নাল : সুনির্দিষ্ট জনবল কাঠামো সংবলিত প্রতিষ্ঠান/দপ্তরের প্রধান কিংবা অন্যান্য পদে মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিযুক্তদের সুযোগ-সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বর্তমানে মন্ত্রীর পদমর‌্যাদায় একজন এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর‌্যাদায় ছয়জন নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ‘পূর্ব-অনুমোদিত সুনির্দিষ্ট জনবল কাঠামো সংবলিত প্রতিষ্ঠান/দপ্তরের প্রধান কিংবা অন্যান্য পদে মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিযুক্ত যে সকল ব্যক্তির প্রাধিকার পৃথক আইন/বিধি দ্বারা নির্ধারিত নয়, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘The Ministers, Ministers of State and Deputy Ministers (Remuneration and Privileges) Act, 1973’ এর কর্মকর্তা-কর্মচারী সংক্রান্ত ধারা ১৪ এবং স্বেচ্ছাধীন মঞ্জুরি সংক্রান্ত ধারা ১৬ প্রযোজ্য হবে না।’
 
এছাড়াও ‘বিদেশে রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার ও অন্যান্য পদে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে উর্পযুক্ত ধারা ১৪ ও ১৬ ছাড়াও উক্ত আইনের দৈনিক ভাতা সংক্রান্ত ধারা ১০ এবং চিকিৎসা-সুবিধা সংক্রান্ত ধারা ১৩ প্রযোজ্য হবে না। তাঁরা প্রচলিত নিয়মে দৈনিক ভাতা ও চিকিৎসা-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।’
 
উক্ত আইনের ১০ ধারায় দৈনিক ভাতা, ১৩ ধারায় চিকিৎসা-সুবিধা, ১৪ ধারায় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নিয়োগ এবং ১৬ ধারায় অনুদান সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভূক্ত আছে। 
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মন্ত্রীর পদমর‌্যাদায় নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন।
 
আর প্রতিমন্ত্রীর পদমর‌্যাদায় নিয়োগ রয়েছেন ছয় জন।  
 
তারা হলেন: প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান, ভারত প্রত্যাগত উপজাতি শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট- লার্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, এছাড়াও বেশ কয়েকটি পদে নিযুক্তগণ এর আওতায় পড়বেন।
 
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত/উপদেষ্টাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদের উপনেতার ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য নয়। 
 
সংশ্লিষ্ট আইনের ১৪ ধারায় মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সমপর‌্যায়ের কেউ নিজস্ব পছন্দ মতে উপসচিব মর‌্যাদার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার সুবিদা থাকলেও এখন থেকে তা আর প্রযোজ্য হবে না। 
 
এছাড়াও কয়েকজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করার সুবিধা বাদ পড়লো।
 
আইনের ১৬ ধারায় মন্ত্রীর জন্য বার্ষিক চার লাখ টাকা, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীর ক্ষেত্রে তিন লাখ টাকা করে অনুদান বাবদ খরচ করার সুবিধা থাকলেও মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপনের ফলে সংশ্লিষ্ট পদমর‌্যাদায় নিয়োগপ্রাপ্তগণ এ সুবিধা হারালো।
 
প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর ক্ষেত্রে ১৪ ও ১৬ ধারা প্রযোজ্য না হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার ও অন্যান্য পদে নিযুক্তদের ১০ এবং ১৪ ধারা প্রযোজ্য হবে না।
 
আইনের ১০ ধারায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের পদমর‌্যাদায় নিয়োগপ্রাপ্তদের ভ্রমণের সময়ে দৈনিক ভাতা বাবদ ৭৫০ টাকা, উপ-মন্ত্রীর জন্য ৬০০ টাকা বরাদ্দ রাখা ছিল।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশের ফলে এখন থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর পদমর‌্যাদায় নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার ও অন্যান্য পদে নিযুক্তদের এ সুবিধা আর প্রযোজ্য হবে না।
 
এছাড়া চিকিৎসা-সুবিধা সংক্রান্ত ১৩ ধারায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপ-মন্ত্রীর নিজের ও পরিবারের জন্য চিকিৎসা-সুবিধা পাওয়ার কথা বলা আছে; প্রজ্ঞাপনের ফলে রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার ও অন্যান্য পদে নিযুক্তদের এ সুবিধা থাকলো না। 
 
ঢাকা জার্নাল , আগস্ট ৫, ২০১৪

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.