ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না মফিজ পরিবহনের

জুলাই ২৬, ২০১৪

Busঢাকা জার্নাল: ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না মফিজ পরিবহনের। শেষ ভরসা তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের নিয়ে।

তবে তা নিয়েও আশাবাদী নন পরিবহন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। লম্বা ছুটির কারণে আগেই চলে গেছেন অনেকে। গার্মেন্টস ছুটি হলে অনেকেই আবার ট্রেনে যাওয়ার অপেক্ষায় করছেন।

এছাড়া অনেক গার্মেন্ট মালিকরা এখনও বেতন বোনাস দেননি শ্রমিকদের। বেতন-বোনাস না ফেলে হয়তো অনেক শ্রমিকই বাড়ি যেতে পারবেন না। সে কারণে শেষ বেলায়ও ব্যবসা ভালো যাবে না এমনটাই দাবি পরিবহন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

শনিবার দুপুরে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে মফিজ পরিবহন খ্যাত লোকাল পরিবহনে এ চিত্র দেখা গেছে।

অন্যান্য বছর ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের নানা ভোগান্তি ও হয়রনীতে পড়তে হলেও এবারের চিত্র পুরো উল্টো। দুপুরে অনেক পরিবহনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কাউন্টারেই শুয়ে-বসে কাটাতে দেখা গেছে। যাত্রী ভোগান্তি নেই। রোডেও নেই অন্যান্য বছরের মতো ট্রাফিক জ্যামও।

পরিবহন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় কাটাচ্ছেন। আগামী দুই দিন শ্রমিকরা ঘরে ফিরবেন এমন আশা নিয়ে কাটছে তাদের সময়। আর স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়েই কম বেশি করে বাস ছাড়ছেন।

প্রায় একই চিত্র দক্ষিণাঞ্চলের লোকাল দূরপাল্লার পরিবহনেও।

রাজশাহীগামী ‘এমপি সাফারি পরিবহনের কর্মকর্তা মামুন জানান, ব্যবসা নেই শুক্রবার থেকেই। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১২টি গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও মাত্র চারটি গাড়ি ছাড়তে পেরেছি। কয়েকটি করে সিট ফাঁকা রেখেই।

তিনি বলেন, ১৪ বছরের চাকরি জীবনে এই প্রথম এতোটা ফাঁকা দেখলাম গাবতলীর বাস কাউন্টার। যাত্রী কম থাকলেও কিছু মালামাল থাকতো কিন্তু এবার তাও নেই।

রংপুর, নীলফামারী, ডোমার, ঠাকুরগাঁও, এবং পঞ্চগড়গামী মেহেরুন পরিবহনের সুপারভাইজার তসলিম জানান, আগে থেকেই ছুটি বেশি পাওয়ায় অনেক মানুষ চলে গেছে।

তাছাড়া মানুষের হাতে এখন কিছু টাকা পয়সা হয়েছে। ভাল বাসে যেতে চায় তারা। রংপুর অঞ্চলের লোকজন এখন এসি গাড়ি খোঁজে। সে কারণেও লোকাল পরিবহনে যাত্রী কম।

মীম পরিবহনের কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, অনলাইন টিকিট বিক্রির কারণে বাসস্ট্যাণ্ডে অনাকাঙ্খিত ভীড়ের সৃষ্টি হয়নি। কষ্ট এড়াতে অনেকে মফিজ পরিবহন ছেড়ে ভিআইপি গাড়িতে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই। এতে মফিজ পরিবহনের ব্যবসাতেও প্রভাব ফেলেছে।

ইনসাফ স্পেশাল পরিবহনের কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান খোকন জানান, শুক্রবার থেকেই গাবতলী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। লোকাল পরিবহনের যাত্রী শুন্য হয়ে যাচ্ছে। আজতো দিনমান বসেই কাটানোর মতো অবস্থা চলছে। তবে ২৭ ও ২৮ জুলাই ব্যবসা হয়তো কিছুটা ভালো হবে।

অপরদিকে দূরপাল্লার ভিআইপি পরিবহন, শ্যামলী, হানিফসহ অন্যান্য কাউন্টারে উপচে পড়া ভীড় না থাকলেও কোনো গাড়িতে যাত্রী কম ছিলনা কাঠ ফাটা রোদেও।

শ্যামলী পরিবহনের কর্মকর্তা বাবুল ঘোষ জানান, এবার শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি চলেছে। ভীড় ভোগান্তি নেই। নেই জ্যাম। ব্যবসাও ভাল।
এস এম আববাস, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম  জুলাই ২৬, ২০১৪

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.