জি এম কাদেরকে এরশাদের নোটিস

মে ২৭, ২০১৪

GM-Kaderমহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুকে ‘কটাক্ষ’ করায় ভাই ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জি এম কাদেরকে সতর্ক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
সংবাদপত্রে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মহাসচিবকে নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার কাদেরকে একটি নোটিস পাঠানো হয়।

ছোট ভাই কাদেরকে রাজনীতিতে বাবলুর ‘জুনিয়র’ মন্তব্য করে তার বিষয়ে কথা বলতে সতর্ক করে দিয়ে এক্ষেত্রে অতীত ‘অভিজ্ঞতা’ মনে রাখতে বলেছেন এরশাদ।

“আপনাকে এই মর্মে সতর্ক করে দেয়া যাচ্ছে যে ভবিষ্যতে কোনো মিডিয়া বা সভা-সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা মেনে কথা বলবেন। এ ব্যাপারে আপনার অতীত অভিজ্ঞতা স্মরণ রাখবেন।”

নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারে যোগ দিয়ে আবার প্রধান বিরোধী দলের আসন নেয়ার পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব পরিবর্তনে দায়িত্বে আসেন বাবলু।

নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদ সিএমএইচে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও ভাইয়ের ‘নির্দেশ’ মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চেয়েও না পারা কাদেরকে হারতে হয়।

নির্বাচনের ওই সময়ে জি এম কাদেরের পাশে দেখা গিয়েছিল দলের তৎকালীন মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে, যদিও তিনি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে নির্বাচনের সময়টাতে জাতীয় পার্টি কার্যত এরশাদের স্ত্রী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশনের নেতৃত্বে চলছিল এবং ওই সময়টাতে তার পাশে থেকে বাবলু আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন বলে মনে করা হয়।

এরপর বাবলুর মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়া আওয়ামী লীগের প্রভাবে হয় বলে রাজনৈতিক মহলের আলোচিত বিষয়টি নিয়ে সাক্ষাৎকারে জি এম কাদেরকে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরে তাতে ‘সায়’ দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন এরশাদ।

“জাতীয় পার্টির নীতি-নির্ধারক নেতা হিসেবে হিসেবে আপনার প্রতিবাদ করা উচিত ছিল। তা না করে আপনি বরং ওই মন্তব্যকে সমর্থন করে বলেছেন- ‘এটা ঠিক উনি অনেক জুনিয়র। উনাকে মহাসচিব করায় দলে অনেক বিতর্ক আছে। সরকার জাপাকে বিশেষ করে তার সংসদীয় দলকে ডমিনেট করছে। এর উপর এরশাদের মুঠো আলগা হয়ে যাচ্ছে’।
“আপনার এই মন্তব্য দলীয় শৃঙ্খলার সরাসরি পরিপন্থি। চেয়ারম্যান হিসেবে আমি তাকে (বাবলু) গঠনতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ করেছি। তার নিয়োগে পার্টিতে কোনো বিতর্ক নেই।”

সরকারি চাকরি থেকে রাজনীতিতে আসা নিজের ভাইকে ডাকসুর সাবেক জিএস বাবলুর চেয়ে ‘জুনিয়র’ বলে মন্তব্য করেন এরশাদ।

“নবনিযুক্ত মহাসচিবের রাজনৈতিক জীবন-বৃত্তান্ত জেনে-বুঝে তার সম্পর্কে আপনার মন্তব্য করা উচিত ছিল। আপনি ওই ধরনের বক্তব্য প্রদান করে মহাসচিবকে হেয় করেছেন এবং চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।”

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.