‘মিথ্যাবাদী’ খালেদার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ

মার্চ ২৯, ২০১৪

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে ‘মিথ্যার উপর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নির্মাণ’ করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। জিয়াউর রহমান ‘সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিকভাবে কখনোই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিল না’ মন্তব্য করে জয় বলেছেন, খালেদা জিয়ার পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান জিয়াউর রহমানকে ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ দাবি করার পর বিভিন্ন মহলে বিতর্কের মধ্যে এ মন্তব্য করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি জয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ফেইসবুক পোস্টে জয় লেখেন, “বিএনপির নিজেদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে জেনারেল জিয়াউর রহমান সপ্তম রাষ্ট্রপতি ছিল। সে কখনোই কারো দ্বারা নির্বাচিত হয়নি।

“সামরিক শাসনের অধীনে সে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করেছিল। সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিকভাবে সে কখনোই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিল না। সে ছিল এক সামরিক স্বৈরশাসক।”

মঙ্গলবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান দাবি করেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।

এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে তারেকের মা খালেদা জিয়া বলেন, তার স্বামীই ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি।

joyজয় লিখেছেন, “খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে মিথ্যাবাদী। তারা মিথ্যার উপর ভর করে তাদের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নির্মাণ করেছে। এমনকি আমাদের মহামান্য হাই কোর্ট রুল জারি করেছে যে, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু খালেদা সেই মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছে যে জিয়াই তা করেছে এবং এটি সে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে।”বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপনেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।

জয় লিখেছেন, “এটা কোনো রাজনীতি নয়। এটা হলো স্রেফ নষ্ট চরিত্র। তার উচিৎ পুরো জাতি এবং আমার পরিবারের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া।”

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান জুন মাস পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পালাবদলের পরিণতিতে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন জিয়া। সামরিক আইন প্রশাসক থেকে পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও হন তিনি।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.